চিত্র হে মুন্দরী, হে প্রেয়সী, হে পূর্ণপূর্ণিমা, অনন্তের অস্তরশায়িনী, নাহি সীমা তব রহস্তের । এ কী মিষ্ট পরিহাসে সংশয়ীর শুষ্ক চিত্ত সৌন্দৰ-উচ্ছাসে মুহূর্তে ডুবালে। কখন দুয়ারে এসে মুখানি বাড়ায়ে, অভিসারিকার বেশে আছিলে দাড়ায়ে, এক প্রাস্তে, স্বররানী, স্বদূর নক্ষত্র হতে সাথে করে আনি বিশ্বভর নীরবতা । আমি গৃহকোণে তর্কজালবিজড়িত ঘন বাক্যবনে শুষ্কপত্রপরিকীর্ণ অক্ষরের পথে একাকী ভ্ৰমিতেছিন্ত শূন্ত মনোরথে তোমারি সন্ধানে। উদভ্ৰান্ত এ ভকতেরে এতক্ষণ ঘুরাইলে ছলনার ফেরে। কী জানি কেমন করে লুকায়ে দাড়ালে একটি ক্ষণিক ক্ষুদ্র দীপের আড়ালে হে বিশ্বব্যাপিনী লক্ষ্মী। মুগ্ধ কর্ণপুটে গ্রন্থ হইতে গুটিকত বৃথা বাক্য উঠে আচ্ছন্ন করিয়াছিল, কেমনে না জানি, লোকলোকাস্তরপূর্ণ তব মৌনবাণী । ১৬ অগ্রহায়ণ, পূর্ণিমা, ১৩০২ ভূত্য ৷ জয় হোক মহারানী। রাজরাজেশ্বরী, দীন ভূত্যে করে দয়া । রানী । সভা ভঙ্গ করি সকলেই গেল চলি যথাযোগ্য কাজে আমার সেবকবৃন্দ বিশ্বরাজ্যমাঝে,
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯১
অবয়ব