ՊԵ ভূত্য । রানী । ভূত্য । ভূত্য । রবীন্দ্র-রচনাবলী মোর আজ্ঞা মোর মান লয়ে শীর্ষদেশে জয়শঙ্খ সগর্বে বাজায়ে । সভাশেষে তুমি এলে নিশাস্তের শশাঙ্ক-সমান ভক্ত ভৃত্য মোর। কী প্রার্থনা ? মোর স্থান সর্বশেষে, আমি তব সর্বাধম দাস মহোত্তমে। একে একে পরিতৃপ্ত-আশ সবাই আনন্দে যবে ঘরে ফিরে যায় সেইক্ষণে আমি আসি নির্জন সভায়, একাকী আসীনা তব চরণতলের প্রান্তে বসে ভিক্ষা মাগি শুধু সকলের সর্ব-অবশেষটুকু। অবোধ ভিক্ষুক, অসময়ে কী তোরে মিলিবে । হাসিমুখ দেখে চলে যাব । অাছে দেবী, আরো আছে - নানা কর্ম নানা পদ নিল তোর কাছে নানা জনে ; এক কর্ম কেহ চাহে নাই, ভৃত্য’পরে দয়া করে দেহ মোরে তাই— আমি তব মালঞ্চের হব মালাকর । মালাকর ? ক্ষুদ্র মালাকর। অবসর লব সব কাজে। যুদ্ধ-অস্ত্র ধৰ্ম্মশর ফেলিচু ভূতলে, এ উষ্ণীষ রাজসাজ রাথিতু চরণে তব — মৃত উচ্চকাজ সব ফিরে লও দেবী। তব দূত করি মোরে আর পাঠায়ে না, তব স্বর্ণতরী দেশে দেশাস্তরে লয়ে । জয়ধ্বজ তব দিগদিগস্তে করিয়া প্রচার, নব নব দিগ্বিজয়ে পাঠায়ে না মোরে। পরপারে
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯২
অবয়ব