বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8|a চিত্র তব রাজ্য কর্মষশধনজনভারে অসীমবিস্তৃত— কত নগরনগরী, কত লোকালয়, বন্দরেতে কত उम्रेो, বিপণিতে কত পণ্য— ওই দেখে দূরে মন্দিরশিখরে আর কত হর্ম্যচুড়ে দিগন্তেরে করিছে দংশন, কলোচ্ছ্বাস খসিয়া উঠিছে শূন্তে করিবারে গ্রাস নক্ষত্রের নিত্যনীরবতা । বহু তৃত্য আছে হোথা, বহু সৈন্ত তব জাগে নিত্য কতই প্রহরী। এ পারে নির্জন তীরে একাকী উঠেছে উর্ধের্ব উচ্চ গিরিশিরে রঞ্জিত মেঘের মাঝে তুষারধবল তোমার প্রাসাদসৌধ, অনিদ্যনির্মল চন্দ্রকাস্তমণিময় .বিজনে বিরলে হেথ। তব দক্ষিণের বাতায়নতলে মঞ্জরিত-ইন্দুমন্ত্রী-বল্পরীবিতানে, ঘনচ্ছায়ে, নিভৃত কপোতকলগানে একাস্তে কাটিবে বেলা ; স্ফটিকপ্রাঙ্গণে জলষন্ত্রে উৎসধারা কল্পোলক্ৰন্দনে উচ্ছ্বসিবে দীর্ঘদিন ছলছলছল— মধ্যাহেরে করি দিবে বেদনবিহবল করুণাকাতর। অদূরে অলিন্দপরে পুঞ্জ পুচ্ছ বিস্ফারিয়৷ স্থলীত গর্বভরে নাচিবে ভবনশিধী, রাজহংসদল চরিবে শৈবালবনে করি কোলাহল বাকীয়ে ধবল গ্রীব, পাটল হরিণী ফিরিবে শুrামল ছায়ে । অয়ি একাকিনী, আমি তব মালঞ্চের হব মালাকর । ওরে তুই কর্মভীরু জলস কিঙ্কর, কী কাজে লাগিবি । ግቖ»