ভৃত্য। রবীন্দ্র-রচনাবলী 擎 অকাজের কাজ যত, আলস্তের সহস্ৰ সঞ্চয় । শত শত আনন্দের আয়োজন। যে অরণ্যপথে কর তুমি সঞ্চরণ বসন্তে শরতে প্রত্যুষে অরুণোদয়ে, শ্লথ অঙ্গ হতে তপ্ত নিত্ৰালসখানি স্নিগ্ধ বায়ুস্রোতে করি দিয়া বিসর্জন, সে বনবীথিক রাখিব নবীন করি। পুষ্পাক্ষরে লিখা তব চরণের স্তুতি প্রত্যহ উষায় বিকশি উঠিবে তব পরশতৃষায় পুলকিত তৃণপুঞ্জতলে । সন্ধ্যাকালে যে মঞ্জু মালিকাখানি জড়াইবে ভালে কবরী বেষ্টন করি, আমি নিজ করে রচি সে বিচিত্র মালা সান্ধ্য যুথীস্তরে, সাজায়ে স্থবৰ্ণ-পাত্রে তোমার সম্মুখে নিঃশব্দে ধরিব আসি অবনতমুখে— ষেথায় নিভৃত কক্ষে ঘন কেশপাশ তিমিরনিঝরসম উন্মুক্ত-উচ্ছাস তরঙ্গকুটিল এলাইয়া পৃষ্ঠপরে, কনকমুকুর অঙ্কে, শুভ্ৰপদ্মকরে বিনাইবে বেণী । কুমুদ্রসরলীকৃলে বসিবে যখন সপ্তপর্ণতরুমূলে মালতী-দোলায়— পত্রচ্ছেদ-অবকাশে পড়িবে ললাটে চক্ষে বক্ষে বেশবাসে
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৪
অবয়ব