পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S१२ রবীন্দ্র-রচনাবলী যে সহজ তোর রয়েছে সমুখে আজিকার মতো যাক যাক চুকে যত অসাধ্য-সাধনি ৷ ক্ষণিক সুখের উৎসব আজি, ওরে থাক থাক কঁদনি ! শুধু অকারণে পুলকে নদীজলে-পড়া আলোর মতন ছুটে যা ঝলকে ঝলকে । ধরণীর ‘পরে শিথিলবাধন । ঝলমল প্ৰাণ করিস যাপন, ছুয়ে থেকে দুলে শিশির যেমন শিরীষ ফুলের অলকে । মর্মরতানে ভরে ওঠা গানে শুধু অকারণ পুলকে । যথাসময় ভাগ্য যবে কৃপণ হয়ে আসে, বিশ্ব যবে নিঃস্ব তিলে তিলে, মিষ্ট মুখে ভুবন-ভরা হাসি ওষ্ঠে শেষে ওজন-দরে মিলে, বন্ধুজনে বন্ধ করে প্রাণ, দীর্ঘদিন সঙ্গীহীন এক, হঠাৎ পড়ে ঋণশোধেরই পালা, ঋণীজনের না যায় পাওয়া দেখা, তখন ঘরে বন্ধ হরে কবি, খিলের পরে খিল লাগও খিল । কথার সাথে গাথো কথার মালা, . মিলের সাথে মিল মিলাও মিল । কপাল যদি আবার ফিরে যায়, প্রভাত-কালে হঠাৎ জাগরণে, শূন্য নদী আবার যদি ভরে শরৎ-মেঘে তুরিত বরিষনে, বন্ধু ফিরে বন্দী করে বুকে, সন্ধি করে অন্ধ অরিদল, অরুণ ঠোঁটে তরুণ ফোটে হাসি, কাজল-চোখে করুণ আঁখিজল,