পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"טיט צ রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী কে তাহদের মনের কথা লয়ে বীণার তারে তুলবে প্ৰতিধ্বনি, আমি যদি ভবের কুলে বসে পরকালের ভালো-মন্দই গনি । “সন্ধ্যাতারা উঠে আস্তে গেল, , চিতা নিবে এল নদীর ধারে, কৃষ্ণপক্ষে হলুদবৰ্ণ চাদ দেখা দিল বনের একটি পারে, শৃগালসভা ডাকে উর্ধরবে পোড়ো বাড়ির শূন্য আঙিনাতে— এমন কালে কোনো গৃহত্যাগী । হেথায় যদি জাগতে আসে রাতে, জোড়-হস্তে উর্ধের্ব তুলি মাথা চেয়ে দেখে সপ্ত ঋষির পানে, সুপ্তিসাগর শব্দবিহীন গানে ত্ৰিভুবনের গোপন কথাখিনি কে জাগিয়ে তুলবে। তাহার মনে আমি যদি আমার মুক্তি নিয়ে যুক্তি করি আপনি গৃহকোণে ? তাহার পানে নজর এত কেন ? পাড়ায় যত ছেলে এবং বুড়ো সবার আমি একবয়সী জেনে । ওষ্ঠে কারও সরল সাদা হাসি কারও হাসি। তঁমাখির কোণে কোণে কারও অশ্রষ্ঠ শুকায় মনে মনে, কেউ বা থাকে। ঘরের কোণে দোহে জগৎ-মাঝে কেউ বা ইহাকায় রথ, কেউ বা মরে একলা ঘরের শোকে জনারণ্যে কেউ বা হারায় পথ কখন শুনি পর্যুকালের ডাক ? সবার আমি সমান-বয়সী যে চুলে আমার যত ধরুক পাক ৷”