পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা বুদ্ধ ভগবান আজ এসেছেন। পুরমাঝ তার পায়ে দিব উপহার।’ মালী কহে, 'এক মাষা স্বৰ্ণ পাব মনে আশা ।” পথিক চাহিল তাহা দিতেহেনকালে সমারোহে বহু পূজা-অৰ্ঘ্য বহে নৃপতি বাহিরে আচম্বিতে । চলেছেন বুদ্ধদরশনেহেরি অকালের ফুল শুধালেন, “কত মূল ? কিনি দিব প্রভুর চরণে | মালী কহে, হে রাজন, স্বর্ণমাষা দিয়ে পণ কিনিছেন এই মহাশয় ।” “দশ মাষা দিব আমি কহিলা ধরণী:স্বামী, ‘বিশ মাষা দিব পান্থ কয় | দোহে কহে ‘দেহাে দেহাে, হার নাহি মানে কেহ-- মূল্য বেড়ে ওঠে ক্ৰমাগত । মালী ভাবে যার তরে এ দোহে বিবাদ করে তারে দিলে আরো পাব কত । কহিল সে করজোড়ে, 'দয়া করে ক্ষম মোরে— এ ফুল বেচিতে নাহি মন ৷” এত বলি ছুটিল সে যেথা রয়েছেন বসে বুদ্ধদেব উজলি কানন | নিরঞ্জন আনন্দমুরতি । দৃষ্টি হতে শান্তি ঝরে, স্ফুরিছে অধর পরে করুণার সুধােহাসাজ্যোতি । সুদাস রহিল চাহি—— নয়নে নিমেষ নাহি, মুখে তার বাক্য নাহি সরে । সহসা ভূতলে পড়ি পদ্মটি রাখিল ধরি প্রভুর চরণপদ্ম-পরে । বরষি অমৃতরাশি বুদ্ধ শুধালেন হাসি, ‘কহাে বৎস, কী তব প্রার্থনা | ব্যাকুল সুদাস কহে, “প্ৰভু, আর কিছু নহে, চরণের ধূলি এক কণা ‘’ ৷ २७ उॉशिंभ १७०७ 80