পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७ সন্ধ্যাদীপ ফায়ুন। ৬০৩ S8 গােধূলি ফায়ূন । ৬০৩ R(ł জাগরণ शहून् । ¢१७

পূজা ফায়ূন । ৫৯৩ ܟܠ

Sዒ সম্ভোগ गता ।। ७७२ ব্যঙ্গকৌতুক ব্যঙ্গকৌতুক ১৩১৪ সালে গদ্যগ্রন্থাবলীর সপ্তম ভাগ রূপে প্রকাশিত হয়। রচনাবলীতে ব্যঙ্গকৌতুকের নাট্য-ভাগ ও প্রবন্ধ-ভাগ বিভিন্ন অংশে প্রকাশিত হইল। ব্যঙ্গকৌতুকের বর্তমানে প্রচলিত সংস্করণে (১৩৪৫) ‘স্বৰ্গে চক্রটেবিল বৈঠক নামে একটি নূতন রচনা সংকলিত আছে। ইহা প্রথম সংস্করণের বহু পরবতী রচনা বলিয়া রচনাবলী-সংস্করণের অন্তর্ভুক্ত হয় নাই। প্ৰচল রচনাবলীর অষ্টাবিংশ খণ্ডে এবং সুলভ সংস্করণ চতুৰ্দশ খণ্ডের অন্তর্ভুক্ত হইবে । । শারদোৎসব শারদোৎসব ১৩১৫ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় । স্বয়ং বিভিন্ন উপলক্ষে শারদোৎসবের মর্মবাণা করিয়াহ্নে দিয়ে তাহা সংকলিত ১৩২৬ সালে শান্তিনিকেতন আশ্রমে শারদোৎসব অভিনয় উপলক্ষে কবি এই নাটকের : “ভিতরের কথাটি’ শান্তিনিকেতন পত্রে মুদ্রিত একটি প্রবন্ধে এই ভাবে লিপিবদ্ধ করেন— আগামী ছুটির পূর্বরাত্রে আশ্রমে শারদোৎসব অভিনয়ের প্রস্তাব হইয়াছে। তাহার আয়োজনও চলিতেছে। শারদোৎসব নাটকটি বিশেষভাবে ছেলেদের উপযোগী করিয়াই তৈরি কথাটি হয়তো ছেলেরা ঠিক বোঝে না । •ዱ সমস্ত নাটককে ব্যাপ্ত করিয়া যে ভাবটা আছে সেটা আমাদের আশ্রমের বালকদের পক্ষে সহজ। বিশেষ বিশেষ ফুলে-ফলে হাওয়ায়-আলোকে আকাশে-পৃথিবীতে বিশেষ বিশেষ ঋতুর উৎসব চলিতেছে। সেই উৎসব মানুষ যদি অন্যমনস্ক হইয়া অন্তরের মধ্যে গ্ৰহণ না করে তবে সে পার্থিব জীবনের একটি বিশুদ্ধ এবং মহৎ আনন্দ হইতে বঞ্চিত হয়। মানুষের সঙ্গে মানুষের নানা কাজে নানা খেলায় মিলনের নানা উপলক্ষ আছে। মিলন ঠিকমত ঘটিলেই, অর্থাৎ তাহা কেবলমাত্ৰ হাটের মেলা বাটের মেলা না হইলে সেই মিলন নিজেকে কোনো-না-কোনো ? উৎসব-আকারে প্রকাশ করে । আমরা এই সংখ্যার শান্তিনিকেতনে অন্য প্রবন্ধে বলিয়াছি, মিলন যেখানেই ঘটে, অর্থাৎ বাহুর ভিতরকার মূল ঐক্যটি যেখানেই ধরা পড়ে, যাহারা বাহিরে পৃথক বলিয়া প্রতীয়মান তাহাদের অন্তরের নিত্য সম্বন্ধ যেখানেই উপলব্ধ হয়, সেখানেই সৃষ্টির অহেতুক অনির্বচনীয় লীলা প্রকাশ পায়। বহুর বিচিত্র ঐক্যসম্বন্ধই সৃষ্টি । মানুষ যেখানে বিচ্ছিন্ন সেখানে তাহার সৃজনকাৰ্য দুর্বল ; সভ্যতা শব্দের অর্থই এই মানুষের মিলনজাত একটি বৃহৎ জগৎ- এই জগতে ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট বিধিব্যবস্থা ধর্মকর্ম শিল্পসাহিত্য আমোদ-আহলাদ সমস্তই । একটি বিরাট সৃষ্টি । এই সৃজনের মূলশক্তি মানুষের সত্য সম্বন্ধ। মানুষ যেখানে বিচ্ছিন্ন, যেখানে বিরুদ্ধ, সেখানে তাহার সৃজনকার্য নিস্তেজ । সেখানে সে কেবল কলে-চালানাে পুতুলের মতো চিরাভ্যাসের পুনরাবৃত্তি করিয়া চলে, আপনি জ্ঞান প্রাণ প্রেমকে নব নব আকারে প্রকাশ করে না। মিলনের শক্তিই সৃজনের শক্তি ।