পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AVSR । ब्रशैव-प्रश्नाक्नी “সাহিত্যপরিষৎ প্ৰবন্ধ এবং পরিষদের কর্তব্য ও কর্মক্ষেত্র প্রসঙ্গে বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদের একাদশ সাংবাৎসরিক কাৰ্যবিবরণীর নিম্নলিখিত অংশ সংকলন করা যাইতে পারে- ; পরিষদের কর্মক্ষেত্রের পরিধিবিস্তার : এই বৎসর পরিষদের জীবনে নূতন পরিচ্ছেদের আরম্ভ হইয়াছে। শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের প্রস্তাবক্রমে পরিষৎ বিস্তৃততর কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিতে প্রস্তুত হইয়াছেন। এতদিন পরিষদের কার্য মুখত ভাষাতত্ত্ব ও সাহিত্যতত্বের আলোচনায় আবদ্ধ ছিল। সম্প্রতি বঙ্গদেশের পুরাতত্ত্ব সমাজতত্ত্ব ভৌগোলিকতত্ত্ব প্রভৃতিও যাহতে পরিষদের আলোচ্য হয়, তেজন্য চেষ্টার আরম্ভ হইয়াছে।-- - --৬ চৈত্র তারিখে কাৰ্যনির্বাহকসমিতির বিশেষ অধিবেশন আহূত হয়। উহাতে শ্ৰীযুক্ত । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় উপস্থিত থাকিয়া পরিষদের কর্মক্ষেত্রের পরিধি-বিস্তারের জন্য প্রস্তাব । করেন। পরিষৎ এপর্যন্ত মুখ্যত বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্যের বিবিধ তত্ত্ব -আলোচনায় নিযুক্ত ছিলেন ; রবীন্দ্রবাবুর অভিপ্রায় যে, অতঃপর বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি সম্বন্ধে যাহা-কিছু জ্ঞাতব্য আছে তাঁহাই পরিষদের আলোচ্য হউক ; যেন পরিষদের কার্যালয়ে আসিলে বাংলাদেশের সম্বন্ধে যে-কোনো জ্ঞাতব্য বিষয়ের সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু এই উদ্দেশ্য-সাধনাৰ্থ বৃহৎ আয়োজন আবশ্যক। বাংলার পল্লীতে পল্লীতে অনুসন্ধান দ্বারা জ্ঞাতব্য বিষয়ের সংকলন করিতে হইবে। পরিষদের তদনুরূপ ধানবল ও লোকবল নাই। আপাতত পরিষৎ মফস্বলবাসী ছাত্ৰগণের সাহায্যে এই অনুসন্ধান ও তথ্যসংকলন কার্যে প্রবৃত্ত হইলে অল্প ব্যয়ে অধিক ফলের প্রত্যাশা আছে। রবীন্দ্রবাবুর প্রস্তাব সাদরে গৃহীত হইয়াছিল এবং স্থির হইয়াছিল যে, পরিষদের ছাত্রসভ্য নামে নূতন শ্রেণীর সভ্য নির্বাচিত করা হউক। তাহারা চাদা দিবেন না, বাংলাদেশের বিবরণ সংগ্ৰহ করিয়া পরিষৎকে সাহায্য করবেন। তাহারা পরিশ্রমের বিনিময়ে সভ্যগণের কতক অধিকার-পাইবেন - আরো স্থির হইয়াছিল যে, সম্প্রতি মফস্বল হইতে আগত পরীক্ষার্থী ছাত্রগণকে ও শহরের ছাত্রগণকে এক বিশেষ সভায় নিমন্ত্ৰণ করিয়া তাহাদিগকে পরিষদের সহিত সম্পর্কস্থাপনার্থ ও পরিষদের উদ্দেশ্যসিদ্ধির পক্ষে সাহায্য করিবার জন্য উৎসাহিত করা হইবে । শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ওই সভায় ছাত্রদিগের কর্তব্য নির্দেশ করিয়া প্ৰবন্ধ পাঠ করিবেন।” তদনুসারে ক্লাসিক থিয়েটারে [১৭ই চৈত্র]। সাহিত্যপরিষদের এক বিশেষ অধিবেশন আহবান করিয়া ছাত্রবর্গকে আমন্ত্রণ করা হইয়াছিল। —বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদের একাদশ বার্ষিক বিবরণ : “বাংলা জাতীয় সাহিত্য’ প্ৰবন্ধ ১৩০১ সালের ২৫শে চৈত্র রবিবার বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদের সাংবাৎসরিক উৎসব-সভায় পঠিত হয় । ১৩১৫ সালের ২১শে অগ্রহায়ণ বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদের বর্তমান-গৃহ-প্রবেশ-সভায় রবীন্দ্রনাথ যে বক্তৃতা করিয়াছিলেন তাহা ‘পরিষৎপরিচয় হইতে নিম্নে মুদ্রিত হইল। (এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য যে, ১৩০৬ সালে পরিষদের কাৰ্যালয় বিনয়কৃষ্ণ দেবের ভবন হইতে সাধারণ প্রকাশ্য স্থানে স্থানান্তরিত করিবার আন্দোলনে উদ্যোগীদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ অন্যতম ছিলেন এবং মহারাজ মণীন্দ্ৰচন্দ্ৰ নদী যখন পরিষৎকে গৃহনির্মাণের জন্য ভূমি দান করেন তখন রবীন্দ্রনাথ পরিষদের পক্ষে অন্যতম ন্যােসরক্ষক নির্বাচিত হইয়াছিলেন ।)- * ব্যাকরণ প্রভৃতি হইতে প্রমাণ করিয়াছেন, ভারতবর্ষে প্রাচীন কালে পুত্রশব্দের অর্থ ছিল, যে পূর্ণ