রবীন্দ্র-রচনাবলী
হয়তো বলিছ মনে, “সে নাহি আসিবে আর কভু,
তারি লাগি তবু মোর বাতায়নতলে অীজ রাত্রে জালিলাম আলো ।”
আগুেস জাহাজ
৬ নভেম্বর, ১৯২৪
অতীত কাল
সেই ভালো, প্রতি যুগ আনে না আপন অবসান,
সম্পূর্ণ করে-না তার গান ; অতৃপ্তির দীর্ঘশ্বাস রেখে দিয়ে যায় সে বাতাসে ।
তাই যবে পরযুগে বাশির উচ্ছাসে
বেজে ওঠে গানখানি তার মাঝে স্থদুরের বাণী কোথায় লুকায়ে থাকে, কী বলে সে বুঝিতে কে পারে ;
যুগাস্তরের ব্যথা প্রত্যহের ব্যথার মাঝারে
মিলায় অশ্রুর বাস্প’জাল ; অতীতের স্বর্যাস্তের কাল আপনার সকরুণ বর্ণচ্ছটা মেলে
মৃত্যুর ঐশ্বৰ্ষ দেয় ঢেলে, নিমেষের বেদনারে করে স্ববিপুল ।
তাই বসন্তের ফুল নাম-ভুলে-যাওয়া প্রেয়সীর নিঃশ্বাসের হাওয়া যুগান্তর-সাগরের দ্বীপান্তর হতে বহি আনে । ষেন কী অজানা ভাষা মিশে যায় প্রণয়ীর কানে
পরিচিত ভাষাটির সাথে,—
মিলনের রাতে । •
আগুেস জাহাজ
৭ নভেম্বর, ১৯২৪
পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১০৯
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
