পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Seు রবীন্দ্র-রচনাবলী 命念 প্রীমান দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর কল্যাণীয়েৰু, দুর প্রবাসে সন্ধ্যাৰেলায় বাসার ফিরে এমু, হঠাৎ যেন বাজল কোথায় ফুলের বুকের বেণু । আতি-পাতি খুজে শেষে বুঝি ব্যাপারখান। বাগানে সেই জুই ফুটেছে চিরদিনের জান । গন্ধটি তার পুরোপুরি বাংলাদেশের বাণী, একটুও তো দেয় না জাভাস এই দেশী ইস্পানি প্রকাস্তে তার থাক ন যতই সাদা মুখের চণ্ড । কোমলতায় লুকিয়ে রাখে গুণমল বুকের রঙ । হেখায় মুখর ফুলের হাটে আছে কি তার দামী চার কণ্ঠে ঠাই নাছি তার, ধুলায় পরিণাম । যুৰী বলে,“জাতিথা লও, একটুখানি বসে।” আমি বলি চমকে উঠে, আরে রসো, রসে ; জিতবে গন্ধ হারবে কি গান ? নৈব কদাচিৎ ৷ তাড়াতাড়ি গান রচিলাম , জানিনে কার জিৎ । তিনটে সাগর পাড়ি দিয়ে একদ। এই গান, অবশেষে বোলপুরে সে হবে বিছমান । এই বিরহীর কখা স্মরি গেয়ে সেদিন, দিক্ষ, জুইবাগানের অারেক দিনের গান য। রচেছিনু । ঘরের খবর পাই নে কিছুই, ওজোৰ শুনি নাকি কুলিশপাশি পুলিস সেখায় লাগায় ইকাইকি। শুনছি নাকি বাংলাদেশের গান হাসি সব ঠেলে কুলুপ দিয়ে করছে আটক আলিপুরের জেলে । হিমালয়ে যোগীশ্বরের রোবের কথা জানি, অনঙ্গেরে জ্বালিয়েছিলেন চোখের জাগুন হানি । এবার নাকি সেই ভূধরে কলির ভূদেব বার ' বাংলাদেশের বৌবনেরে জ্বালিয়ে করবে সারা । সিমলে নাকি দারুশ গরম, শুনছি দার্জিলিঙে নকল শিবের তাওৰে তাজ পুলিস ৰাজার শিঙে ।