পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দয়া করে, দয়া ক’রে, আরণ্যক এই তপস্বীরে, ধৈর্য ধরো, ওগো দিগঙ্গনা, ব্যর্থ করিবারে তায় অশান্ত আবেগে ফিরে ফিরে বনের অঙ্গনে মাতিয়ো না । এ কী তীব্র প্রেম, এ যে শিলাবৃষ্টি নির্মম দুঃসহ,— দুরন্ত চুম্বন-বেগে তব ছিড়িতে ঝরাতে চাও অন্ধ স্বখে, কহ মোরে কহ, কিশোর কোরক নব নব ॥ অকস্মাং দস্থ্যতায় তারে রিক্ত করি নিতে চাও সর্বস্ব তাহার তব সাথে ? ছিন্ন করি লবে যাহা চিহ্ন তার রবে না কোথাও, হবে তারে মুহূর্তে হারাতে । যে লুদ্ধ ধূলির তলে লুকাতে চাহিবে তব লাভ সে তোমারে ফাকি দেবে শেষে । লুণ্ঠনের ধন লুঠি সর্বগ্রাসী দারুণ অভাব উঠিবে কঠিন হাসি হেসে । আস্থক তোমার প্রেম দীপ্তিরূপে নীলাম্বরতলে, শান্তিরূপে এস দিগঙ্গনা । উঠুক স্পদিত হয়ে শাখে শাখে পল্লবে বন্ধলে স্বগম্ভীর তোমার বন্দন । দাও তারে সেই তেজ মহত্ত্বে যাহার সমাধান, সার্থক হ’ক সে বনস্পতি । বিশ্বের অঞ্জলি যেন ভরিয়া করিতে পারে দান তপস্তার পূর্ণ পরিণতি। উঠুক তোমার প্রেম রূপ ধরি তার সর্বমাঝে নিত্য নব পত্রে ফলে জুলে । গোপনে জাধারে তার ষে অনন্ত নিয়ত বিরাজে জাৰয়ণ দাও তার খুলে । $80