পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నీగ్రీకు i রবীজ-রচনাবলী ধনঞ্জয় । ওরা তো ভয়ে দিয়ে ফেলতে চায়, আমি বারণ করে বলি, প্রাণ ছিবি তাকেই প্রাণ দিয়েছেন যিনি । রণজিৎ । তোমার ভরসা চাপা দিয়ে ওদের ভয়টাকে ঢেকে রাখছ বই তো নয় । বাইরের ভরসা একটু ফুটে হলেই ভিতরের ভয় সাতগুণ জোরে বেরিয়ে পড়বে। তখন ওরা মরবে ষে । দেখে, বৈরাগী, তোমার কপালে দুঃখ আছে। ধনঞ্জয়। যে দুঃখ কপালে ছিল সে দুঃখ বুকে তুলে নিয়েছি। দুঃখের উপরওঅালা সেইখানে বাস করেন । রণজিৎ । ( প্রজাদের প্রতি ) আমি তোদের বলছি, তোরা শিবতরাইয়ে ফিরে য। বৈরাগী, তুমি এইখানেই রইলে । সকলে । আমাদের প্রাণ থাকতে সে হবে না । ধনঞ্জয় । গান রইল বলে রাখলে কারে ? হুকুম তোমার ফলবে কবে ? টানাটানি টিকবে না, ভাই, রবার যেটা সেটাই রবে । † রাজা, টেনে কিছুই রাখতে পারবে না। সহজে রাখবার শক্তি যদি থাকে তবেই রাখা চলবে । রণজিৎ । মানে কী হল ? ধনঞ্জয় । যিনি সব দেন তিনিই সব রাখেন। লোভ করে যা রাখতে চাইবে সে হল চোরাই মাল, সে টিকবে না । গান যা-খুশি তাই করতে পার, গায়ের জোরে রাখ মার, যার গায়ে তার ব্যথা বাজে তিনিই যা সন সেটাই সবে । রাজ, ভুল করছ এই, যে, ভাবছ জগৎটাকে কেড়ে নিলেই জগৎ তোমার হল । ছেড়ে রাখলেই যাকে পাও, মুঠোর মধ্যে চাপতে গেলেই দেখবে সে ফসকে গেছে। গান ভাবছ, হবে তুমি বা চাও, জগৎটাকে ভূমিই নাচাও, '