পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

外部@暖, 血 ૨૭છે ब्रांछ५ब्र कश्णिन, "दिल्लॉब्र कक्रश्न भशांब्रांछ ।” ইশা খাঁ কহিলেন, “নিশ্চয়ই তুণ বদল হইয়াছে।” কিন্তু পরীক্ষা করিয়া দেখা গেল তুর্ণ বদল হয় নাই। সকলে পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করিতে লাগিলেন । ইশা খা বলিলেন, “পুনর্বার পরীক্ষা করা হউক ।” রাজধর বিষম অভিমান করিয়া কহিলেন, “তাহাতে আমি সন্মত হইতে পারি না। আমার প্রতি এ বড়ো অন্যায় অবিশ্বাস। আমি তো পুরস্কার চাই না, মধ্যম” কুমার বাহাদুরকে পুরস্কার দেওয়া হউক।” বলিয়া পুরস্কারের তলোয়ার ইন্দ্রকুমারের দিকে অগ্রসর করিয়া দিলেন । 飘 ইন্দ্রকুমার দারুণ ঘৃণার সহিত বলিয়া উঠিলেন, “ধিকৃ। তোমার হাত হইতে এ পুরস্কার গ্রাহ করে কে। এ তুমি লও।” বলিয়া তলোয়ারখানা ঝনঝন করিয়া রাজধরের পায়ের কাছে ফেলিয়া দিলেন। রাজধর হাসিয়া নমস্কার করিয়া তাহা তুলিয়া লইলেন । o তখন ইন্দ্রকুমার কম্পিতম্বরে পিতাকে কহিলেন, “মহারাজ, আরাকানপতির সহিত শীঘ্রই যুদ্ধ হইবে । সেই যুদ্ধে গিয়া আমি পুরস্কার আনিব। মহারাজ, আদেশ कुङ्कनं ।” ইশ খ ইন্দ্রকুমারের হাত ধরিয়া কঠোরস্বরে কছিলেন, “তুমি আজ মহারাজের অপমান করিয়াছ। উহার তলোয়ার ছুড়িয়া ফেলিয়াছ। ইহার সমুচিত শাস্তি আবশ্যক ৷” t ইন্দ্রকুমার সবলে হাত ছাড়াইয়া লইয়া কহিলেন, "বৃদ্ধ, আমাকে স্পর্শ করিয়ো না।” বৃদ্ধ ইশা খাঁ সহসা বিষন্ন হইয়া ক্ষুব্ধস্বরে কছিলেন, “পুত্র, এ কী পুত্র। আমার পরে এই ব্যবহার। তুমি আজ আত্মবিশ্বত হইয়াছ বংস ।” ইন্দ্রকুমারের চোখে জল উথলিয়া উঠিল । তিনি কহিলেন, “সেনাপতি সাহেব, আমাকে মাপ করে, আমি আজ যথার্থই আত্মবিশ্বত হইয়াছি।” যুবরাজ স্নেহের স্বরে কছিলেন, “শান্ত হও ভাই–গুহে ফিরিয়া চলো।” ইন্দ্রকুমার পিতার পদধূলি লইয়া কছিলেন, “পিতা, অপরাধ মার্জন করুন।” গৃহে ফিরিবার সময় যুবরাজকে কছিলেন, "দাদা, আজ আমার যথার্থই পরাজয় হইয়াছে।” * . * রাজধর যে কেমন করিয়া জিতিলেন তাহ কেহ বুঝিতে পারিলেন না।