পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांखिब्रिटकडम HO ව් স্থিতিলাভ করেছেন তাকে আমি ভক্তির সঙ্গে নমস্কার করি । আমি তার সঙ্গে কোনো কথা নিয়ে বাদপ্রতিবাদ করতে চাই নে । কেননা, আমি যে অনুভব করছি, মিথ্যার বোঝায় আমার জীবন ক্লান্ত । আমি যে দেখতে পাচ্ছি, যে পদার্থটাকে “আমি” বলে ঠিক করে বসে আছি, তারই খালা ঘটি বাটি তারই স্থাবর অস্থাবরের বোঝাকে সভ্য পদার্থ বলে ভ্রম করে সমস্ত জীবন টেনে বেড়াচ্ছি—যতই দুঃখ পাই কোনোমতেই তাকেই ফেলতে পারি নে। অথচ অন্তরাত্মার ভিতরে একটা বাণী অাছে, ও সমস্ত মিথ্যা, ও সমস্ত তোমাকে ত্যাগ করতেই হবে । মিথ্যার বস্তাকে সত্য বলে বহন করতে গেলে তুমি বঁiচবে না—তাহলে তোমার “মহতী বিনষ্টি"। -l. নিজের অহংকারকে, নিজের দেহকে, টাকাকড়িকে, খ্যাতি-প্রতিপত্তিকে একান্ত সত্য বলে জেনে অস্থির হয়ে বেড়াচ্ছি এই যদি হয় তবে এই মিথ্যার সীমা কোথায় টানব ? বুদ্ধির মূলে যে ভ্রম থাকাতে আমি নিজেকে ভুল জানছি, সেই ভ্ৰমই কি সমস্ত জগংসম্বন্ধেও আমাদের ভোলাচ্ছে না ? সেই ভ্রমই কি আমার জগতের কেন্দ্রস্থলে আমার “আমি”টিকে স্থাপন করে মরীচিকা রচনা করছে না ? তাই, ইচ্ছা কি করে না, এই মাকড়সার জাল একেবারে ছিন্ন ভিন্ন পরিষ্কার করে দিয়ে সেই পরমাত্মার, সেই পরমআমির, সেই একটিমাত্র আমির মাঝখানে অহংকারের সমস্ত আবরণ-বিবর্জিত হয়ে অবগাহন করি—ভারমুক্ত হয়ে, বাসনামুক্ত হয়ে, মলিনতামুক্ত হয়ে একেবারে স্ববৃহৎ পরিত্রাণ লাভ করি । এই ইচ্ছা যে অস্তরে আছে, এই বৈরাগ্য যে সমস্ত উপকরণের ধাধার মাঝখানে পথভ্রষ্ট বালকের মতো থেকে থেকে কেঁদে উঠছে। তবে আমি. মায়াৰাদকে গাল দেব কোন মুখে । আমার মনের মধ্যে ষে এক শ্মশানবাসী বসে আছে, সে ষে আর কিছুই জানে না, সে যে কেবল জানে—একমেবাদ্বিতীয়ম্। ২ মাঘ নির্বিশেষ সংসার পদার্থটা আলো-আঁধার ভালোমন্দ জন্মমৃত্যু প্রভৃতি স্বন্ধের নিকেতন এ কথা অত্যন্ত পুরাতন । এই দ্বন্ধের দ্বারাই সমস্ত খণ্ডিত। অাকর্ষণ-শক্তি বিপ্রকর্ষণ শক্তি, কেন্দ্রাহুগ শক্তি কেন্দ্রাতিগ শক্তি কেবলই বিরুদ্ধতা দ্বারাই হটিকে জাগ্রত করে রেখেছে। ।