পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांछिनिटकङन *@台 মানুষ অহংকারকে যখন একান্ত বিশেষ করে জানে তখন সে নিজের সেই জামিকে নিয়ে সকল দুষ্কৰ্মই করতে পারে। মানুষের ধর্মবোধ তাকে নিয়তই শিক্ষা দিচ্ছে তোমার আমি একান্ত নয়। তোমার মামিকে সমাজ-আমির মধ্যে মুক্তি দাও। অর্থাৎ তোমার বিশেষত্ৰকে অতিবিশেষের অভিমুখে নিয়ে চলে। এই অতিবিশেষের অভিমুখে যদি বিশেষত্বকে না নিয়ে ৰাই তাহলে সংসার নিদারুণ বিশিষ্ট মূর্তি ধারণ করে আমাদের ঘাড়ের উপর চেপে বলে—তার সমস্ত পদার্থই একান্ত বোঝা হয়ে ওঠে । টাকা তখন অত্যস্ত একান্ত হয়ে উঠে অ-টাকাকে এমনি বিরুদ্ধ করে তোলে যে টাকার বোঝা কিছুতেই আর আমরা নামাতে পারি নে। এই বন্ধন এই বোঝ থেকে মুক্তি দেবার জন্তে মানুষের মধ্যে বড়ো বড়ো ভাব, মঙ্গল ভাব, ধর্মভাব কত রকম করে কাজ করছে। বড়োর মধ্যে ছোটোর বিশেষত্বগুলি নিজের ঐকাস্তিকতা ত্যাগ করে, এই জন্তে বড়োর মধ্যে বিশেষের দৌরাত্ম্য কম পড়াতে মানুষ বড়ো ভাবের আনন্দে ছোটোর বন্ধন, টাকার বন্ধন, খ্যাতির বন্ধন ত্যাগ করতে পারে । তাই দেখা যাচ্ছে নিবিশেষের অভিমুখেই মামুষের সমস্ত উচ্চ আকাঙ্ক্ষা সমস্ত উন্নতির চেষ্টা কাজ করছে। অদ্বৈতবাদ, মায়াবাদ, বৈরা.i্যবাদ মানুষের এই ভাবকে এই সত্যকে সমুজ্জল করে দেখেছে। সুতরাং মানুষকে অদ্বৈতবাদ একটা বৃহৎ সম্পদ দান করেছে । তার মধ্যে নানা অব্যক্ত অর্ধব্যক্তভাবে ষে-সত্য কাজ করছিল, সমস্ত আবরণ সরিয়ে দিয়ে তারই সম্পূর্ণ পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু যেখানেই হ’ক বিশিষ্টতা বলে একটা পদার্থ এসেছে । তাকে মিথ্যাই বলি মায়াই বলি, তার মস্ত একটা জোর, সে আছে। এই জোর সে পায় কোথা থেকে ? ব্ৰহ্ম ছাড়া আর কোনো শক্তি (তাকে শয়তান বল বা আর কোনো নাম দাও ) কি বাইরে থেকে জোর করে এই মায়াকে আরোপ করে দিয়েছে ? সে তো কোনোমতে মনেও করতে পারি নে। f উপনিষদে এই প্রশ্নের উত্তর এই যে, আনন্দাজ্যেৰ খৰিমানি ভূতানি জায়ন্তে ; ব্রহ্মের জানন্দ থেকেই এ সমস্ত যা কিছু হচ্ছে । এ তার ইচ্ছা-ৰ্তার আনন্দ । বাইরের জোর নয় । 鹼 এমনি করে বিশেষের পথ পার হয়ে সেই নিবিশেষে আনন্দের মধ্যে যেমনি পৌছোনো যায় অমনি লাইন ঘুরে আবার বিশেষের দিকে ফিরে আসে। কিন্তু তখন এই সমস্ত বিশেষকে আনন্দের ভিতর দিয়ে দেখতে পাই—আর সে আমাদের বদ্ধ করতে