পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Öeto ब्रयौव-ब्रछबांबलौ পারে না। কর্ম তখন মানদের কর্ম হয়ে ফলাকাঙ্ক ত্যাগ করে বেঁচে যায়–সংসার তখন আনন্দময় হয়ে ওঠে। কৰ্মই তখন চরম হয় না, সংসারই তখন চরম হয় নয়, ख्वांनबलझे उथम छब्रय झग्न । এমনি করে মুক্তি আমাদের যোগে নিয়ে আসে, বৈরাগ্য আমাদের গ্রেমে উত্তীর্ণ করে দেয় । ৩ মাঘ छूझे স পর্যগাছুক্রমকায়মত্ৰশমল্লাবিরং শুদ্ধমপাপবিদ্ধং । কবির্মনীষী পরিভু; স্বয়ম্বুর্যাখাতথাতোহুর্থান বাদধাচ্ছাস্বতীভাঃ সমাভাঃ । উপনিষদের এই মন্ত্রটিকে আমি অনেকদিন অবজ্ঞা করে এসেছি । নানা কারণেই এই মন্ত্রটিকে খাপছাড়া এবং অদ্ভূত মনে হত। বাল্যকাল থেকে আমরা এই মন্ত্রের মর্থ এইভাবে শুনে আসছি— তিনি সর্বব্যাপী, নির্মল, নিরবয়ব, শিরা ও ব্ৰণৱস্থিত, শুদ্ধ, অপাপবিদ্ধ। তিনি সর্বদশী, মনের নিয়ন্ত সকলের শ্রেষ্ঠ ও স্বপ্রকাশ ; তিনি সর্বকালে প্রজাদিগকে বখোপযুক্ত অর্থসকল বিধান করিতেছেন । ঈশ্বরের নাম এবং স্বরূপের তালিকা নানা স্থানে শুনে শুনে আমাদের অভ্যস্ত হয়ে গেছে । এখন এগুলি আবৃত্তি করা এত সহজ হয়ে পড়েছে যে এজন্ত আর চিস্তা করতে হয় না—সুতরাং যে শোনে তারও চিন্তা উদ্রেক করে না । বাল্যকালে উল্লিখিত মন্ত্রটিকে আমি চিন্তার দ্বারা গ্রহণ করি নি, বরঞ্চ আমার চিস্তার মধ্যে একটি বিদ্রোহ ছিল । প্রথমত এর ব্যাকরণ এবং রচন-প্রণালীতে ভারি একটা শৈথিল্য দেখতে পেতুম । তিনি সর্বব্যাপী—এই কথাটাকে একটা ক্রিয়াপদের দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে, যথা—স পর্বগাং তার পরে তার অন্ত সংজ্ঞাগুলি শুক্রম অকায় প্রভৃতি বিশেষণ-পদের দ্বারা ব্যক্ত হয়েছে। দ্বিতীয়ত, শুক্রম্ অকায়ম এগুলি ক্লীবলিঙ্গ, তার পরেই হঠাৎ কবির্মনীষী প্রভৃতি পুংলিঙ্ক বিশেষণের প্রয়োগ হয়েছে। তৃতীয়ত ত্রন্ধের শরীর নেই এই পর্যন্তই সন্থ করা যায় কিন্তু ত্রণ নেই স্বায়ু নেই বললে এক তো বাহুল্য বলা হয় তার পরে আবার কথাটাকে অত্যন্ত নামিয়ে নিয়ে আসা হয়। এই সকল কারণে আমাদের উপাসনার এই মন্ত্রটি দীর্ঘকাল আমাকে করেছে |