পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

༠༤་༠ ब्रबौटा-ब्रकनांवलौ জানা যায়। আমরা তারাই যারা ঈশ্বরকে কোনো বিশেষ জাতির বিশেষ লভ্য বলি নে । আমরা বলি তিনি অবর্ণ, এবং–বর্ণাননেকান্নিহিতার্থে ধাতি, সর্ব বর্গেরই প্রয়োজন বিধার করেন কোনো বর্ণকে বঞ্চিত করেন না; আমরা তারাই ধারা এই বাণী ঘোষণার ভার নিয়েছি এক এক অদ্বিতীয় এক। তবে আমরা আর স্থানীয় ধর্ম এবং সাময়িক লোকাচারের মধ্যে বাধা পড়ে থাকব কেমন করে। আমরা একের অালোকে সকলের সঙ্গে সম্মিলিত হয়ে প্রকাশ পাব । আমাদের উংসব সেই প্রকাশের উৎসব, সেই বিশ্বলোকের মধ্যে প্রকাশের উৎসব, সেই কথা মনে রাখতে হবে । এই উৎসবে সেই প্রভাতের প্রথম রশ্মিপাত হয়েছে ষে-প্রভাত একটি মহাদিনের অভু্যদয় স্বচনা করেছে। সেই মহাদিন এসেছে অথচ এখনও সে আসে নি। অনাগত মহাভবিষ্যতে তার মূর্তি দেখতে পাচ্ছি। তার মধ্যে যে-সত্য বিরাজ করছে সে তো এমন সতfনয় যাকে আমরা একেবারে লাভ করে আমাদের সম্প্রদায়ের লোহার সিন্দুকে দলিল-দস্তাবেজের সঙ্গে চাবি বন্ধ করে বসে আছি, যাকে বলৰ এ আমাদের ব্রাহ্মসমাজের ব্রাহ্মসম্প্রদায়ের। না। আমরা সম্পূর্ণ উপলব্ধি করি নি ; আমরা যে কিসের জন্ত এই উংসবকে বর্ষে বর্ষে বহন করে আসছি তা ভালো করে বুঝতে পারি নি। আমরা স্থির করেছিলুম এই দিনে একদা ব্রাহ্মসমাজ স্থাপিত হয়েছিল আমরা ব্রাক্ষরা তাই উৎসব করি। কথাটা এমন ক্ষুদ্র নয় । এষ দেবো বিশ্বকৰ্ম মহাত্মা সদা জনানাং হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট, এই যে মহান আত্মা এই যে বিশ্বকর্ম দেবতা যিনি সর্বদা জনগণের হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট আছেন তিনিই আজ বর্তমান যুগে জগতে ধর্মসমন্বয় জাতিসমন্বয়ের আহ্বান এই অখ্যাত বাংলাদেশের দ্বার হতে প্রেরণ করেছেন। আমরা তাই বলছি ধন্ত, ধন্ত, আমরা ধন্ত । এই আশ্চর্ষ ইতিহাসের আনন্দকে আমরা মাঘোৎসবে জাগ্রত করছি । এই মছংসত্যে আজ আমাদের উদ্বোধিত হতে হবে, বিধাতার এই মহতী কৃপায় যে গম্ভীর দায়িত্ব তা আমাদের গ্রহণ করতে হবে । বুদ্ধিকে প্রশস্ত করে, হৃদয়কে প্রসারিত করে, নিজেকে দরিত্র বলে জেনে না, দুর্বল বলে মেনে না। তপস্তায় প্রবৃত্ত হও, দুঃখকে বরণ করে, ক্ষুদ্র সমাজের মধ্যে আরাম ভোগ করবার জন্তে জ্ঞানকে মৃতপ্রায় এবং কর্মকে যন্ত্রবৎ করে না—সত্যকে সকলের উর্ধ্বে স্বীকার করে এবং ব্রহ্মের আনন্দে জীবনকে পরিপূ করে অভয় প্রতিষ্ঠা লাভ করো। - o W হে জনগণের হৃদয়াসন-সন্নিবিষ্ট-বিশ্বকর্ম, তুমি যে আজ আমাদের নিয়ে তোমার কোন মহৎকর্ম রচনা করেছ, হে মহান আত্মা, তা এখনও আমরা সম্পূর্ণ বুঝতে পারি নি। তোমার ভগবৎশক্তি আমাদের বুদ্ধিকে কোনখানে স্পর্শ করেছে, সেখানে কোথায় তোমার স্বষ্টিলীলা চলছে তা এখনও আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে নি, জগৎ সংসারে