পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नदाई cझ्टकृरह नांदे यांब्र cकह, पूंषि षड् िखड्,ि बारड् डब ८षश्, নিরাশ্রয় জন পথ বাৱ গেছ সেও আছে তব ভবনে। সবাই যাকে পরিত্যাগ করেছে তার আত্মার মধ্যে সে যে এক মুহূর্তের জন্তে পরিত্যক্ত নয় ; পথ যার গৃহ তার অস্তরের আশ্রয় যে কোনো মহাশক্তি অত্যাচারীও এক মুহূর্তের জন্তে কেড়ে নিতে পারে না ; অন্তর্ষামীর কাছে যে ব্যক্তি অপরাধ করে নি বাইরের লোক যে তাকে জেলে দিয়ে ফালি দিয়ে কোনোমতেই দও দিতে পারে না। অরাজক রাজত্বের প্রজার মতো আমরা সংসারে আছি, আমাদের কেউ রক্ষা করছে না, আমরা বাইরে পড়ে রয়েছি, আমাদের নানা শক্তিকে নানাদিকে কেড়েকুড়ে নিচ্ছে, কত অকারণ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে তার ঠিকানা নেই। যার অস্ত্র শাণিত সে আমাদের মর্ম বিদ্ধ করছে, যার শক্তি বেশি সে আমাদের পায়ের তলায় রাখছে। স্বখসমৃদ্ধির জন্তে আত্মরক্ষার জন্যে দ্বারে দ্বারে নানা লোকের শরণাপন্ন হয়ে বেড়াচ্ছি। একবার খবরও রাখি নে যে, অন্তরাত্মার অচল সিংহাসনে আমাদের রাজ বসে আছেন । সেই খবর নেই বলেই তো সমস্ত বিচারের ভার বাইরের লোকের উপর দিয়ে বসে আছি, এবং আমিও অন্ত লোককে বাইরে থেকে বিচার করছি। কাউকে সত্যভাবে ক্ষমা এবং নিত্যভাবে প্রতি করতে পারছি নে, মঙ্গল-ইচ্ছা কেবলই সংকীর্ণ ও প্রতিহত হয়ে যাচ্ছে । যতদিন সেই সত্যকে, সেই মঙ্গলকে, সেই প্রেমকে সম্পূর্ণ সহজভাবে না পাই, ততদিন প্রত্যহই বলতে হবে—ভাবে তারে অস্তরে যে বিরাজে। নিজের আস্তরাত্মার মধ্যে সেই সত্যকে যথার্থ উপলব্ধি করতে না পারলে অন্তের মধ্যেও সেই সত্যকে দেখতে পাব না এবং অন্তের সঙ্গে আমাদের সত্য সম্বন্ধ স্থাপিত হবে না। যখন জানব যে পরমাত্মার মধ্যে আমি আছি এবং আমার মধ্যে পরমাত্মা রয়েছেন তখন অন্তের দিকে তাকিয়ে নিশ্চয় দেখতে পাব সেও পরমাত্মার মধ্যে রয়েছে এবং পরমাত্মা তার মধ্যে রয়েছেন—তখন তার প্রতি ক্ষমা প্রতি সহিষ্ণুতা আমার পক্ষে সহজ হবে, তখন সংযম কেবল বা৷হরের নিয়মপালনমাত্র হবে না। ষে-পর্যন্ত তা না হয়, ষে-পর্যন্ত বাহিরই আমাদের কাছে একান্ত, ষে-পর্যন্ত বাছিরই সমস্তকে অত্যন্ত আড়াল করে দাড়িয়ে সমস্ত অবকাশ রোধ করে ফেলে—সে-পর্যন্ত কেবলই বলতে হবে ভাৰেষ্ঠীয়ে জন্তরে ৰে বিরাজে, জন্ত ৰথ ছাড়েন। সংসার সকেটে ত্ৰাণ নাহি কোনোমতে ৰিন ষ্টার সাধন।