পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন * එළෑෂ් বিশ্বাস সাধনা-জারম্ভে প্রথমেই সকলের চেয়ে একটি বড়ো বাধা আছে—সেইটি কাটিয়ে উঠতে পারলে অনেকটা কাজ এগিয়ে যায়। 制 সেটি হচ্ছে প্রত্যয়ের বাধা । অজ্ঞাতসমুত্র পার হয়ে একটি কোনো তীরে গিয়ে ঠেকবই এই নিশ্চিত প্রত্যয়ই হচ্ছে কলম্বসের সিদ্ধির প্রথম এবং মহৎ সম্বল। আরও অনেকেই আটলাণ্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় পৌছোতে পারত কিন্তু তাদের দীনচিত্তে ভরসা ছিল না ; তাদের বিশ্বাস উজ্জল ছিল না যে, কুল আছে ; এইখানেই কলম্বসের সঙ্গে তাদের পার্থক্য । আমরাও অধিকাংশ লোক সাধনাসমূত্রে যে পাড়ি জমাই নে, তার প্রধান কারণ আমাদের অত্যন্ত নিশ্চিত প্রত্যয় জন্মে নি যে সে সমূত্রের পার আছে। শাস্ত্র পড়েছি, লোকের কথাও শুনেছি, মুখে বলি ই ই বটে বটে, কিন্তু মানবজীবনের ষে একটা চরম লক্ষ্য আছে সে-প্রত্যয় নিশ্চিত বিশ্বাসে পরিণত হয় নি। এইজন্ত ধর্মসাধনটা নিতান্তই বাহব্যাপার, নিতান্তই দশজনের অনুকরণ মাত্র হয়ে পড়ে। আমাদের সমস্ত আন্তরিক চেষ্টা তাতে উদ্বোধিত হয় নি । । এই বিশ্বাসের জড়তাবশতই লোককে ধর্মসাধনে প্রবৃত্ত করতে গেলে আমরা তাকে প্রতারণা করতে চেষ্টা করি, আমরা বলি এতে পুণ্য হবে । পুণ্য জিনিসটা কী ? না, পুণ্য হচ্ছে একটি হাওনোট ঘাতে ভগবান আমাদের কাছে ঋণ স্বীকার করেছেন, কোনো একরকম টাকায় তিনি কোনো এক সময়ে সেটা পরিশোধ করে দেবেন। এই রকম একটা স্থম্পষ্ট পুরস্কারের লেভি আমাদের স্কুল প্রত্যয়ের অনুকূল। কিন্তু সাধনার লক্ষ্যকে এইরকম বহির্বিষয় করে তুললে তার পথও ঠিক অন্তরের পথ হয় না, তার লাভও অস্তরের লাভ হয় না। সে একটা পারলৌকিক বৈষয়িকতার স্বষ্টি করে। সেই বৈষয়িকতা অন্তান্ত বৈষয়িকতার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। কিন্তু সাধনার লক্ষ্য হচ্ছে মানবজীবনের চরম লক্ষ্য। সে লক্ষ্য কখনোই বাহিরের কোনো স্থান নয়, যেমন স্বৰ্গ ; বাহিরের কোনো পদ নয়, যেমন ইন্দ্রপদ ; এমন কিছুই নয় যাকে দূরে গিয়ে সন্ধান করে বের করতে হবে, যার জন্তে পাও পুরোহিতের শরণাপন্ন হতে হবে। এ কিছুতে হতেই পারে না। शानबौवटञग्न झग्रश्न जक्रा कैौ ७हे अन्त्री नििरखक जिस्त्राग करङ्ग नित्खच्न कोझ থেকে এর একটি স্পষ্ট উত্তর বের করে নিতে হবে। কারও কোনো শোনা কথায়