পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांखिब्रिट्कडन ett জানবে। কামক্রোধলোভ ষে-সমস্ত বিকারের অন্ধকার রচনা করে, তার থেকে আত্মা বিশুদ্ধ শুভ্র নিযুক্ত পৰিত্রতার মধ্যে প্রস্ফুটিত হয়ে উঠবে এবং সর্বপ্রকার আসক্তির মৃত্যুবন্ধন থেকে প্রেমের অমৃতলোৰে মুক্তিলাভ করে লে নিজেকে অমর বলেই জানবে। সে জানবে কার প্রকাশের মধ্যে তার প্রকাশ সত্য—সেই আবিঃ সেই প্রকাশস্বরূপকেই সে আত্মার পরম প্রকাশ বলে নিজের সমস্ত দৈন্ত দূর করে দেবে এবং অস্তরে বাহিরে সর্বত্রই একটি প্রসন্নতা লাভ করে সে স্পষ্ট জানতে পারবে যে চিরদিনের জষ্ঠ রক্ষা পেয়েছে। সমস্ত ভয় হতে, সমস্ত শোক হতে, সমস্ত ক্ষুদ্রতা হতে রক্ষা পেয়েছে। o আত্মাকে পরমাত্মার মধ্যে লাভ করাই যে জীবনের চরম লক্ষ্য এই লক্ষ্যটিকে একান্ত প্রত্যয়ের সঙ্গে একাগ্রচিত্তে স্থির করে নিতে হবে । দেখো, দেখো, নিরীক্ষণ করে দেখে, সমস্ত চেষ্টাকে স্তন্ধ করে সমস্ত মনকে নিবিষ্ট করে নিরীক্ষণ করে দেখো । একটি চাকা কেবলই ঘুরছে তারই মাঝখানে একটি বিন্দু স্থির হয়ে আছে। সেই বিলুটিকে অর্জুন বিদ্ধ করে ক্রৌপদীকে পেয়েছিলেন । তিনি চাকার দিকে মন দেন নি বিন্দুর দিকেই সমস্ত মন সংহত করেছিলেন। সংসারের চাকা কেবলই ঘুরছে, লক্ষ্যটি তার মাঝখানে ধ্রুব হয়ে আছে । সেই এবের দিকেই মন দিয়ে লক্ষ্য স্থির করতে হবে, চলার দিকে নয়। লক্ষ্যটি ষে আছে সেটা নিশ্চয় করে দেখে নিতে হবে-চাকার ঘূর্ণাগতির মধ্যে দেখা বড়ো শক্ত—কিন্তু সিদ্ধি যদি চাই প্রথমে লক্ষ্যটিকে স্থির যেন দেখতে পারি। ১৬ ফাল্গুন ১৩১৫ সংহরণ আমাদের সাধনার দ্বিতীয় বড়ো বাধা হচ্ছে সাধনার অনভ্যাস। কোনো রকম সাধনাতেই হয়তো আমাদের অভ্যাস হয় নি। যখন যেটা আমাদের সমুখে এসেছে সেইটের মধ্যেই হয়তো আমরা আকৃষ্ট হয়েছি, যেমন-তেমন করে ভাসতে ভাসতে যেখানে সেখানে ঠেকতে ঠেকতে আমরা চলে যাচ্ছি। সংসারের স্রোত অামাদের বিনা চেষ্টাতেই চলছে বলেই আমরা চলছি—আমাদের দাড়ও নেই, হালও নেই, পালও নেই। কোনো একটি উদ্বেপ্তের একান্ত অনুগত করে শক্তিকে প্রবৃত্তিকে চতুদিক হতে সংগ্রহ করে আনা আমরা চর্চাই করি নি। এইজন্তে তারা সকলেই হাতের বার হয়ে ধাবার জো হয়েছে। কে কোথায় যে আছে তার ঠিকান নেই—ডাক দিলেই ষে ছুটে