পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"OQto ब्रशैटश-बरुमावलौ অগ্রসর হচ্ছেই অগ্রসর হচ্ছেই—প্রতিদিন যে গম্যস্থানের কিছু কিছু করে কাছে আসছে তাতে সন্দেহমাত্র নেই। ওই দেখে হঠাৎ একদিন কোথা হতে ভক্তির ওয়েসিস দেখা দেয়—স্থদুরপ্রসারিত দগ্ধ পাণ্ডুরতার মধ্যে মধুফলগুচ্ছপূর্ণ খর্জুরকুঞ্জের স্বস্নিগ্ধ শুামলতা। সেই নিভৃত ছায়াতলে শীতল জলের উৎস বয়ে যাচ্ছে। সেই জল পান করে তাতে স্নান করে ছায়ায় বিশ্রাম করে আবার পথে যাত্রা করি। কিন্তু ভক্তিয় সেই মধুরতা সেই শীতল সরলতা তো বরাবর সঙ্গে সঙ্গে চলে না। তখন আবার সেই কঠিন শুষ্ক অশ্রান্ত নিষ্ঠ । তার একটি গুণ আছে, ভক্তির জল যদি সে কোনো স্বৰোগে একদিন পান করতে পায় তবে সে অনেকদিন পর্যন্ত তাকে ভিতরের গোপন আধারে জমিয়ে রাখতে পারে । ঘোরতর নীরসতার দিনেও সেই তার পিপাসার সম্বল । সাধনায় র্যাকে পাওয়া যায় তার প্রতি ভক্তিকেই আমরা ভক্তি বলি, কিন্তু নিষ্ঠা হচ্ছে সাধনারই প্রতি ভক্তি। এই কঠোর কঠিন শুষ্ক সাধনাই হচ্ছে নিষ্ঠার প্রাণের ধন। এতে তার একটি গভীরতর আনন্দই আছে। সে একটি অহেতুক পবিত্র আনন্দ । এই বজ্রসার আনন্দে সে নৈরাশুকে দূরে রেখে দেয়—সে মৃত্যুকেও ভয় করে না। এই আমাদের মরুপথের একমাত্র সঙ্গিনী নিষ্ঠ যেদিন পথের অন্তে এসে পৌছোয় সেদিন সে ভক্তির হাতে আমাদের সম্পূর্ণ সমর্পণ করে দিয়ে নিজেকে তার দাসীশালায় লুকিয়ে রেখে দেয় ; কোনো অহংকার করে না, কোনো দাবি করে না—সার্থকতার দিনে আপনাকে অস্তরালে প্রচ্ছন্ন করেই তার মুখ । ১৭ ফাঙ্কন নিষ্ঠার কাজ নিষ্ঠ যে কেবল আমাদের শুষ্ক কঠিন পথের উপর দিয়ে অক্লান্ত অধ্যকলায়ে চালন করে নিয়ে যায় তা নয়, সে আমাদের কেবলই সতর্ক করে দেয় । রোজই একভাবে চলতে চলতে আমাদের শৈথিল্য এবং অমনোযোগ আসতে থাকে। নিষ্ঠা কখনো ভুলতে চায় নH-লে আমাদের ঠেলে দিয়ে ৰলে এ কী হচ্ছে । এ কী করছ। সে মনে করিয়ে দেয় ঠাণ্ডার সময় যদি এগিয়ে না থাক তবে রৌদ্রের সময় ষে কষ্ট পাৰে। সে দেখিয়ে দেয় তোমার জলাধারের ছিত্র দিয়ে জল পড়ে যাচ্ছে পিপাসার সময় উপায় কী হবে। 暑 L আমরা সমস্ত দিন কত রকম করে যে শক্তির অপব্যয় করে চলি তার ঠিকানা নেই—কত বাজে কথায়, কত বাজে কাজে । নিষ্ঠ হঠাৎ স্মরণ করিয়ে দেয়, এই