পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांछिमिट्कडनं €ఆలీ হে মৃত্য, আর কিছু নয়, যেদিকে তুমি, যেদিকে সত্য, সেইদিকে জামার মুখ ফিরিয়ে দাও—মমি যে কেবল অসত্যের দিকেই তাকিয়ে আছি। তোমার আনন্দলীলা-মঞ্চে তুমি সারি সারি আলো জালিয়ে দিয়েছ-আমি তার উলটােদিকের অন্ধকারে তাকিয়ে ভেবে মরছি এ সমস্ত কী। তোমার জ্যোতির দিকে আমাকে ফেরাও । আমি কেবলই দেখছি মৃত্যু —তার কোনো মানেই ভেবে পাচ্ছি নে, ভয়ে সারা হয়ে যাচ্ছি। ঠিক তার ওপাশেই যে অমৃত রয়েছে, তার মধ্যে সমস্ত মানে রয়েছে সে-কথা আমাকে কে বুঝিয়ে দেবে ? হে আবিঃ—তুমি ষে প্রকাশরুপে নিরস্ত রয়েছ—সেই প্রকাশের দিকেই আমার দৃষ্টি নেই। আমি হতভাগ্য। সেইজন্ত আমি কেবল তোমাকে রুদ্রই দেখছি— তোমার প্রসন্নত ষে আমার আত্মাকে নিযুত পরিবেষ্টিত করে রয়েছে তা জানতেই পারছি নে। মার দিকে পিঠ করে শিশু অন্ধকার দেখে কেঁদে মরে—একবার পাশ । ফিরলেই জানতে পারে মা যে তাকে আলিঙ্গন করেই রয়েছেন । তোমার প্রসন্নতার দিকেই তুমি আমাদের পাশ ফিরিয়ে নাও হে জননী, তাহলেই এক মুহূর্তে জানতে পারব আমি রক্ষা পেয়েই আছি, অনন্তকাল আমার রক্ষা, নইলে অরক্ষ-ভয়ের কান্না কোনোমতেই থামবে না। இ. >b” कोंसुन মরণ ঈশ্বরের সঙ্গে খুব একটা শৌখিন রকমের যোগ রক্ষণ করার মতলব মানুষের দেখতে পাই । যেখানে যা যেমন আছে তা ঠিক সেইরকম রেখে সেইসঙ্গে আমনি ঈশ্বরকেও রাখবার চেষ্টা । তাতে কিছুই নাড়ানাড়ি করতে হয় না । ঈশ্বরকে বলি, তুমি ঘরের মধ্যে এস কিন্তু সমস্ত বাচিয়ে এস–দেখো আমার কাচের ফুলদানিটা যেন না পড়ে যায়, ঘরের নানাস্থানে যে নানা পুতুল সাজিয়ে রেখেছি তার কোনোটা যেন ঘা লেগে ভেঙে না যায়। এ আসনটায় বসো না এটাতে আমার অমুক বসে, এ জায়গায় নয় এখানে আমি অমুক কাজ করে থাকি, এ ঘর নয় এ আমার অমুকের জন্তে সাজিয়ে রাখহি । এই করতে করতে সবচেয়ে কম জায়গা এবং সবচেয়ে অনাবশ্বক স্থানটাই আমরা তার জন্তে ছেড়ে দিই। .' ' মনে আছে আমার পিতার কোনো ভূত্যের কাছে ছেলেবেলায় আমরা গল্প শুনেছি যে, সে যখন পুীতীর্ষে গিয়েছিল তার মহা ভাবনা পড়েছিল জগন্নাথকে কী দেবে। তাকে যা দেৰে সে তো কখনো সে জার ভোগ করতে পারবে না সেইজন্তে সে ষে