পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ड्रबौछ-ब्रक्रमांवलौ ארסי যখন ঘুমোচ্ছি তখনও হচ্ছে, আমরা যখন ভুলে আছি তখনও হচ্ছে। সত্য যখন আছে, তখন কিছুই হচ্ছে না, বা একমুহূর্তও তার বিরাম আছে এ কখনো হতেই পারে না। বিশ্বভুবনের মাঝখানে একটি সত্যং বিরাজ করছেন বলেই প্রতিদিনই বিশ্বভুবনকে তার যথাস্থানে যথানিয়মে দেখতে পাচ্ছি। আমাদের কয়জনের মাঝখানে একটি সত্যং কাজ করছেন বলেই প্রতিদিন প্রাতঃকালে আমরা এখানে এসে বসেছি। বিশ্বভুবন সেই এক সত্যকে প্রদক্ষিণ করে প্রণাম করছে। যেখানে আমাদের দুরবীন পৌছোয় না, মন পৌছোয় না, সেখানেও কত জ্যোতির্ময় লোক তাকে বেষ্টন করে করে বলছে নমোনমঃ । আমরাও তেমনি করেই আমাদের এই উপাসনালোকের সত্যকে বেষ্টন করে বসেছি, যিনি লোক-লোকান্তরের মাঝখানে বসে অাছেন তিনি এই প্রাঙ্গণে বসে আছেন ; কেবল ষে আমাদের মধ্যে চৈতন্য বিকীর্ণ করছেন তা নয়, আমাদের কয়জনকে নিয়ে ষে বিশেষ স্বষ্টি চলছে তারও শক্তি বিকীর্ণ করছেন, আমাদের কয়েকজনের মনকে এই বিশেষ ব্যাপারে নানারকম করে চালাচ্ছেন, আমাদের কয়জনের প্রকৃতি সংস্কার ও শিক্ষার নানা বৈচিত্র্যকে সেই এক এই মুহূর্তেই একটি ঐক্যের মধ্যে গড়ে তুলছেন এবং আমরা যখন এখান থেকে উঠে অন্যত্র চলে যাব তখনও তিনি তার এই কাজে বিশ্রাম দেবেন না । w আমাদের মাঝখানের সেই সত্যকে আমাদের উপাসনাজগতের সেই সবিতাকে এইখানে প্রত্যক্ষ দর্শন করে যাব, র্তাকে প্রদক্ষিণ করে তাকে একসঙ্গে প্রণাম করে যাব । আমরা প্রত্যহ জেনে যাব, সূর্যচন্দ্র গ্ৰহতারা যেমন তার অনন্ত স্বষ্টি আমাদের কয়জনকে যে এখানে বসিয়েছেন এও তার তেমনি স্থষ্টি । তার অবিরাম আনন্দ এই কাজটিতে প্রকাশিত হচ্ছে, সেই প্রকাশককে আমরা দেখে যাব। ৩ চৈত্র ১৩১৫ - মৃত্যু ও অমৃত সম্প্রতি অকস্মাং আমার একটি বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে জগতে সকলের চেয়ে পরিচিত যে মৃত্যু তার সঙ্গে আর একবার নূতন পরিচয় হল । জগংটা গায়ের চামড়ার মতে অঁাকড়ে ধরেছিল, মাঝখানে কোনো ফাক ছিল না। মৃত্যু যখন প্রত্যক্ষ হল তখন সেই জগংটা যেন কিছু দূরে চলে গেল, আমার সঙ্গে জার যেন সে অত্যন্ত সংলগ্ন হয়ে রইল না। * এই বৈরাগ্যের দ্বারা আত্মা যেন নিজের স্বরূপ কিছু উপলব্ধি করতে পারল । লে যে