পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্তিনিকেতন gఫిలి মন্ত্রের বাধন i. বীণার কোনো তার পিতলের, কোনো তার ইস্পাতের, কোনো তার মোটা, কোনো তার সরু, কোনো তার মধ্যম স্বরে বাধবার, কোনো তার পঞ্চমে । কিন্তু তৰু ৰাখতে হবে, তার থেকে একটা কোনো বিশুদ্ধ স্থর জাগিয়ে তুলতে হবে, নইলে সব মাটি। ৷ জগতে ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের কোনো বিশেষ আপন সম্বন্ধ স্থাপন করতে হবে । একটা কোনো বিশেষ স্বর বাজাতে হবে । সূর্ব চন্দ্র তারা ওষধি বনস্পতি সকলেই এই বিশাল বিশ্বসংগীতে নিজের একটী-নাএকটা বিশেষ স্থর যোগ করে দিয়েছে। মানুষের জীবনকেও কি এই চির-উদগীত সংগীতে যোগ দিতে হবে না ? কিন্তু এখনও এই জীবনটাকে তারের মতো বাধি নি। এর মধ্যে এখনও কোনো গানের আবিভাব হয় নি। এ জীবন স্বত্রবিচ্ছিন্ন বিচিত্র তুচ্ছতার মধ্যে অকৃতাৰ্থ হয়ে আছে। যেমন করেই পারি এর একটি কোনো নিত্য স্বরকে ধ্রুব করে তুলতে হবে। তারকে বাধব কেমন করে ? o ঈশ্বরের বীণায় অনেকগুলি বাধবার সম্বন্ধ আছে, তার মধ্যে নিজের মনের মতো একটি কিছু স্থির করে নিতে হবে। m মন্ত্র জিনিসটি একটি বাধবার উপায় । মন্ত্রকে অবলম্বন করে আমরা মননের বিষয়কে মনের সঙ্গে বেঁধে রাখি । , এ যেন বীণার কানের মতো। তারকে এটে রাখে, খুলে পড়তে দেয় না । বিবাহের সময় স্ত্রীপুরুষের কাপড়ে কাপড়ে গ্রন্থি বেঁধে দেয়, সেই সঙ্গে মন্ত্র পড়ে দেয়। সেই মন্ত্ৰ মনের মধ্যেও গ্রন্থি বাধতে থাকে। ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের যে গ্রস্থিৰন্ধনের প্রয়োজন আছে মন্ত্র তার সহায়তা করে। এই মন্ত্রকে অবলম্বন করে আমরা তার সঙ্গে একটা কোনো বিশেষ সম্বন্ধকে পাকা করে নেব । সেইরূপ একটি মন্ত্র হচ্ছে—পিতা নোইলি । i এই স্বরে জীবনটাকে বাধলে সমস্ত চিন্তায় ও কর্মে একটি বিশেষ রাগিণী জেগে উঠবে। আমি উার পুত্র এইটেই মূর্তি ধরে জামার সমস্তের মধ্যেই এই কথাটাই আজ আমি কিছুই প্রকাশ করছি নে। জাহার করছি কাজ করছি বিশ্রাম করছি এই পর্যন্তই। কিন্তু অনন্ত কালে অনন্ত জগতে আমার পিতাৰে আছেন অৱ কোনো ծ8|ՀԵ t