পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তিনিকেতন ৪৫৭ জাগ্রত হব, চিত্তকে সচেতন করব, হৃদয়কে নির্মল করব, আমরা জাজ যথার্থভাবে এই মাঙ্গমের মধ্যে প্রবেশ করব । আমরা এই আশ্রমকে গভীর করে, বৃহৎ করে, সত্য করে, ভূত ও ভবিষ্যতের সঙ্গে একে সংযুক্ত করে দেখব, ষে-সাধক এখানে তপস্তা করেছেন তার আনন্দময় বাণী এর সর্বত্র বিকীর্ণ হয়ে রয়েছে লেটি আমরা অন্তরের মধ্যে অনুভব করব—এবং তার সেই জীবনপূর্ণ বাণীর দ্বারা বাহিত হয়ে এখানকার ছায়ায় এবং আলোকে, আকাশে এবং প্রান্তরে, কর্মে এবং বিশ্রামে, আমাদের জীবন তোমার আচল আশ্রয়ে, নিবিড় প্রেমে, নিরতিশয় আনন্দে গিয়ে উত্তীর্ণ হবে এবং চন্দ্র স্বৰ্ষ, অগ্নি বায়ু তরুলত পশুপক্ষী কীটপতঙ্গ সকলের মধ্যে তোমার গভীর শাস্তি, উদার মঙ্গল ও প্রগাঢ় অদ্বৈতরল অনুভব করে শক্তিতে এবং ভক্তিতে সকল দিকেই পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে থাকবে। ৭ পৌষ, প্রাতঃকাল, ১৩১৬ তপোবন আধুনিক সভ্যতালক্ষ্মী ষে-পদ্মের উপর বাস করেন সেটি ইট কাঠে তৈরি, সেটি শহর। উন্নতির স্বৰ্ষ যতই মধ্যগগনে উঠছে ততই তার দলগুলি একটি একটি করে খুলে গিয়ে ক্রমশই চারিদিকে ব্যাপ্ত হয়ে পড়ছে। চুন স্বরকির জয়যাত্রাকে বস্থদ্ধর কোথাও ঠেকিয়ে রাখতে পারছে না। এই শহরেই মাহুষ বিদ্যা শিখছে, বিস্তা প্রয়োগ করছে, ধন জমাচ্ছে, ধন খরচ করছে, নিজেকে নানাদিক থেকে শক্তি ও সম্পদে পূর্ণ করে তুলছে। এই সভ্যতায় সকলের চেয়ে যা কিছু শ্রেষ্ঠ পদার্থ তা নগরের সামগ্ৰী । বস্তুত এ ছাড়া অন্ত রকম কল্পনা করা শক্ত । যেখানে অনেক মামুষের সম্মিলন সেখানে বিচিত্ৰ বুদ্ধির সংঘাতে চিত্ত জাগ্রত হয়ে ওঠে এবং চারদিক থেকে ধাক্কা খেয়ে প্রত্যেকের শক্তি গতি প্রাপ্ত হয়। এমনি করে চিত্তসমূত্রের মন্থন হতে থাকলে মাহুষের নিগুঢ় সার পদার্থসকল আপনিই ভেসে উঠতে থাকে। তার পরে মাছুষের শক্তি যখন জেগে ওঠে তখন সে সহজেই এমন ক্ষেত্ৰ চায় যেখানে আপনাকে ফলাও রকম করে প্রয়োগ করতে পারে। সে ক্ষেত্র কোথায় ? যেখানে অনেক মানুষের অনেক প্রকার উত্তৰ নানা স্কটিকার্ধে সর্বদাই সচেষ্ট হয়ে রয়েছে । সেই ক্ষেত্রই হচ্ছে শহর । । o ' , cत्रोफांद्र यांश्य दर्षन भूष डिफ़ करब ७क बाइभान नश्द्र शडे करद ऋग, उषन cनछै।