পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अस्विमिएकछन । se আলৰাল যেমনি জলে ভরে উঠছে আমনি তার সরে যাচ্ছেন। পাখির নিঃশঙ্কমনে । আলবালের জল খেতে আসে, এই তাদের অভিপ্রায় । রৌদ্র পড়ে এসেছে, নীবার ধান্ত কুটিরের প্রাঙ্গণে রাণীকৃত, এবং সেখানে হরিণরা শুয়ে রোমন্থন করছে । আহুতির স্বগন্ধ ধূম বাতাসে প্রবাহিত হয়ে এসে আশ্রমোন্মুখ অতিথিদের সর্বশরীর পবিত্র করে দিচ্ছে । তরুলত পশুপক্ষী সকলের সঙ্গে মাহুষের মিলনের পূর্ণত, এই হচ্ছে এর ভিতরকার ভাব । * সমস্ত অভিজ্ঞানশকুন্তল নাটকের মধ্যে, ভোগলালসানিষ্ঠুর রাজপ্রাসাদকে ধিক্কার দিয়ে যে একটি তপোবন বিরাজ করছে তারও মূল স্বরটি হচ্ছে ওই, চেতন অচেতন সকলেরই সঙ্গে মানুষের আত্মীয়-সম্বন্ধের পবিত্র মাধুর্ব। কাদম্বরীতে তপোবনের বর্ণনায় কবি লিখছেন—সেখানে বাতাসে লতাগুলি মাথা নত করে প্রণাম করছে, গাছগুলি ফুল ছড়িয়ে পূজা করছে, কুটিরের অঙ্গনে শুামাক ধান শুকোবার জন্তে মেলে দেওয়া আছে, সেখানে আমলক লবলী লবঙ্গ কদলী বদরী প্রভৃতি ফল সংগ্রহ করা হয়েছে ; বটুদের অধ্যয়নে বনভূমি মুখরিত, বাচাল শুকের অনবরত-শ্রবণের দ্বারা অভ্যন্ত আহুতিমন্ত্র উচ্চারণ করছে, অরণ্যকুকুটেরা বৈশ্বদেব-বলিপিও আহার করছে ; নিকটে জলাশয় থেকে কলহংসশাবকেরা এসে নীবারবলি খেয়ে যাচ্ছে ; হরিণীর জিহৰাপল্লব দিয়ে মুনিবালকদের লেহন করছে। । এর ভিতরকার কথাটা হচ্ছে ওই । তরুলতা জীবজন্তুর সঙ্গে মানুষের বিচ্ছেদ দূর করে তপোবন প্রকাশ পাচ্ছে, এই পুরানো কথাই আমাদের দেশে বরাবর চলে এসেছে । কেবল তপোবনের চিত্রেই ষে এই ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে তা নয়। মানুষের সঙ্গে বিশ্বপ্রকৃতির সম্মিলনই আমাদের দেশের সমস্ত প্রসিদ্ধ কাব্যের মধ্যে পরিস্ফুট। ষে-সকল ঘটনা মানবচরিত্রকে আশ্রয় করে ব্যক্ত হতে থাকে তাই না কি প্রধানত নাটকের উপাদান এই জন্তেই অন্তদেশের সাহিত্যে দেখতে পাই বিশ্বপ্রকৃতিকে নাটকে কেবল আভাসে রক্ষা করা হয় মাত্র, তার মধ্যে তাকে বেশি জায়গা দেবার অবকাশ থাকে না। আমাদের দেশের প্রাচীন ষে নাটকগুলি আজ পর্যন্ত খ্যাতি রক্ষা করে আসছে তাতে দেখতে পাই প্রকৃতিও নাটকের মধ্যে নিজের অংশ থেকে বঞ্চিত श्झ नीं । । . . . . . o I মাছৰে বেষ্টন করে এই ষে জগৎপ্রকৃতি আছে এ ষে অত্যন্ত অন্তরক্ষভাবে মাছৰেৰ সকল চিন্তা লকল কাজের সঙ্গে জড়িত হয়ে আছে । মাছষের লোকালয় যদি কেবলই