পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§§§ l ब्रबौटब-ब्रछनांबजौ चच जाzख् । उॉब्रउवार्षब cव उगजांब घूर्ण ऊर्थन अडौऊ श्ब्र निम्बझिण, भैश्वर्षलाणी রাজসিংহাসনের পাশে বলে কবি সেই নির্মল স্বদুৰ্বকালের দিকে একটি বেদন বহন করে ভাকিয়ে ছিলেন । রঘুবংশ কাব্যে তিনি ভারতবর্ষের পুরাকালীন স্বর্যবংশীয় রাজাদের চরিতগানে ষে প্রবৃত্ত হয়েছিলেন তার মধ্যে কবির সেই বেদনটি নিগূঢ় হয়ে রয়েছে। তার প্রমাণ দেখুন। আমাদের দেশের কাব্যে পরিণামকে অশুভকর ভাবে দেখানো ঠিক প্রথা নয়। বস্তুত ধে-রামচন্দ্রের জীবনে রঘুর বংশ উচ্চতম চুড়ায় অধিরোহণ করেছে সেইখানেই কাব্য শেষ করলে তবেই কবির ভূমিকার বাক্যগুলি সার্থক হত । তিনি ভূমিকায় বলেছেন—সেই ধারা জন্মকাল অবধি শুদ্ধ, ধারা ফলপ্রাপ্তি অবধি কর্ম করতেন, সমুদ্র অবধি ধাদের রাজ্য, এবং স্বর্গ অবধি ধাদের রখবক্স ; যথাবিধি ধারা অগ্নিতে আহুতি দিতেন, যথাকাম ধারা প্রার্থীদের অভাব পূর্ণ করতেন, ঘথাপরাধ ধারা দও দিতেন এবং যথাকালে ধারা জাগ্রত হতেন ; ধারা ত্যাগের জন্তে অর্থ সঞ্চয় করতেন, র্যারা সত্যের জন্ত মিতভাষী, যারা যশের জন্ত জয় ইচ্ছা করতেন এবং সন্তানলাভের জন্য যাদের দারগ্রহণ ; শৈশবে র্যারা বিদ্যাভ্যাস করতেন, যৌবনে ধাদের বিষয়-সেবা ছিল, বাধক্যে ধারা মুনিবৃত্তি গ্রহণ করতেন এবং যোগাস্তে ধাদের দেহত্যাগ হত—আমি বাকৃসম্পদে দরিদ্র হলেও সেই রঘুরাজদের বংশ কীর্তন করব, কারণ তাদের গুণ আমার কৰ্ণে প্রবেশ করে আমাকে চঞ্চল করে তুলেছে। কিন্তু গুণকীর্তনেই এই কাব্যের শেষ নয়। কবিকে ৰে কিলে চঞ্চল করে তুলেছে, তা রঘুবংশের পরিণাম দেখলেই বুঝা যায় । রঘুবংশ যার নামে গৌরবলাভ করেছে তার জন্মকাহিনী কী ? তার আরম্ভ কোথায় ? তপোবনে দিলীপদম্পতির তপস্তাতেই এমন রাজা জন্মেছেন । কালিদাস র্তার রাজপ্রভুদের কাছে এই কথাটি নানা কাব্যে নানা কৌশলে বলেছেন যে, কঠিন তপস্তার ভিতর দিয়ে ছাড়া কোনো মহৎ ফললাভের কোনো সম্ভাবনা নেই । যেরঘু উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিমের সমস্ত রাজাকে বীরতেজে পরাভূত করে পৃথিবীতে একচ্ছত্র রাজত্ব বিস্তার করেছিলেন তিনি র্তার পিতামাতার তপঃসাধনার ধন। আবার ষে-ভরত বীর্ষবলে চক্রবর্তী সম্রাট হয়ে ভারতবর্ষকে নিজ নামে ধগু করেছেন তার জন্ম-ঘটনায় অবারিত প্রবৃত্তির যে কলঙ্ক পড়েছিল কবি তাকে তপস্তার অগ্নিতে দগ্ধ এবং দুঃখের অশ্রুজলে সম্পূর্ণ ধৌত না করে ছাড়েন নি। ..