পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bペ ब्रदौटश-ब्रछनांवलौ চেয়ে আরও ষে বড়ো ফল আছে। প্রতিকূলতার সঙ্গে সংগ্রাম করলে আমরা কৃতকার্য হব বলে কোমর বাধলে চলবে না, বস্তুত কৃতকার্য হব কি না তা জানি নে, কিন্তু প্রতিকূলতার সহিত সংগ্রাম করতে করতে আমাদের অস্তরের বাধা ক্ষয় হয়, তাতে আমাদের তেজ ভস্মমুক্ত হয়ে ক্রমশ দীপ্যমান হয়ে ওঠে এবং সেই দীপ্তিতেই, যিনি বিশ্বপ্রকাশ, আমার চিত্তে তার প্রকাশ উন্মুক্ত হতে থাকে। আনন্দিত হও ষে, কর্মে বাধা আছে । আনন্দিত হও যে, কর্ম করতে গেলেই তোমাকে নানাদিক থেকে নানা আঘাত সইতে হবে এবং তুমি যেমনটি কল্পনা করছ বারংবার তার পরাভব ঘটবে। আনন্দিত হও যে, লোকে তোমাকে ভুল বুঝবে ও অপমানিত করবে। আনন্দিত হও যে, তুমি ষে বেতনটি পাবে বলে লোভ করে বসেছিলে বারংবার তা হতে বঞ্চিত হবে। কারণ, সেই তো সাধনা । যে-ব্যক্তি আগুন জালতে চায়, সে-ব্যক্তির কাঠ পুড়ছে বলে দুঃখ করলে চলবে কেন ? ষে-কৃপণ শুধু শুষ্ক কাঠই স্ত,পাকার করে তুলতে চায় তার কথা ছেড়ে দাও! তাই ছুটির পরে কর্মের সমস্ত বাধাবিঘ্ন সমস্ত অভাব অসম্পূর্ণতার মধ্যে আজ আনন্দের সঙ্গে প্রবেশ করছি । কাকে দেখে ? যিনি কর্মের উপরে বসে আছেন তার দিকেই চেয়ে । র্তার দিকে চাইলে কর্মের বল বাড়ে অথচ উগ্রতা চলে যায়। চেষ্টার চেষ্টারূপ আর দেখতে পাই নে, তার শান্তিমূর্তিই ব্যক্ত হয়। কাজ চলতে থাকে অথচ স্তব্ধতা আসে, ভরা জোয়ারের জলের মতো সমস্ত থমথম করতে থাকে। ডাকাডাকি হাকাহাকি ঘোষণা রটনা এ সমস্ত একেবারেই ঘুচে যায়। চিস্তায় বাক্যে কর্মে বাড়াবাড়ি কিছুমাত্র থাকে না। শক্তি তখন আপনাকে আপনি আড়াল করে দিয়ে স্বন্দর হয়ে ওঠে—যেমন স্বন্দর আজকের এই সন্ধ্যাকাশের নক্ষত্রমণ্ডলী ! তার প্রচও তেজ, প্রবল গতি, তার ভয়ংকর উদ্যম কী পরিপূর্ণ শাস্তির ছবি বিস্তার করে কী কমনীয় হাসিই হাসছে । আমরাও আমাদের কর্মের আসনে পরমশক্তির সেই শাস্তিময় মহাসুন্দরব্রুপ দেখে উদ্ধত চেষ্টাকে প্রশাস্ত করব । কর্মের উদগ্র আক্ষেপকে সৌন্দর্ষে মণ্ডিত করে আচ্ছন্ন করে দেব। আমাদের কর্ম—মধু ষ্ঠেী, মধু নক্তম, মধুমৎ পার্থিবং রজঃ–এই সমস্তের সঙ্গে মিলে মধুময় হয়ে উঠবে। g