পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থ-পরিচয় ● : বিরহী-বিরহিণীর বেদনাট বেশ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে । তোমার এই লেখায় কোনখানে রূপক কোনখানে সাদা কথা বোঝা শক্ত হয়ে উঠেছে। আমি বললুম—কালিদাস ষে মেঘদূত কাব্য লিখেছেন সেটাও বিশ্বের কথা। নইলে তার একপ্রান্তে নির্বাসিত যক্ষ রামগিরিতে, আর-একপ্রাস্তে বিরহিণী কেন অলকাপুরীতে ? স্বৰ্গ-মর্তের এই বিরহই তে৷ সকল স্থষ্টিতে । এই মন্দা ক্রান্তা-ছন্দেই তো বিশ্বের গান বেজে উঠছে । বিচ্ছেদের ফাকের ভিতর দিয়ে অণু-পরমাণু নিত্যই যে অদৃশু চিঠি চালাচালি করে, সেই চিঠিই স্বাক্টর বাণী । স্ত্রী-পুরুষের মাঝখানেও, চোখে-চোখেই হোক, কানে-কানেই হোক, মনেমনেই হোক, আর কাগজে-পত্রেই হোক, যে-চিঠি চলে সেও ওই বিশ্ব-চিঠিরই একটি বিশেষ রূপ। “পূরবী” কবিতাটির পূর্ব পাঠ পলাতকায় “শেষ গান” নামে মুদ্রিত হইয়াছে। “পূরবী” ও “বিজয়ী” ১৩২৪ সালে সাময়িক পত্রে প্রকাশিত হইয়াছিল, রচন-তারিখ পাওয়া যায় নাই । ১৩২৯ সালে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের পরলোকগমনে কলিকাতায় যে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্রনাথ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কবিতাটি তথায় পাঠ করেন। ঐ কবিতাটির দিয়ে গেলে তোমার সংগীত’ ( পৃ. ১৩ ) স্থলে ‘দিয়েছ সংগীত তব এবং রেখে গেলে’ স্থলে ‘রেখে গেছ' পরিবর্তন কবি করিয়াছিলেন ; পূরবীর কোনো সংস্করণে এই সংশোধনটি সন্নিবিষ্ট হয় নাই ; এই সংশোধন করিয়া কবিতাটি পড়িতে হইবে। কবিকৃত এইরূপ আর-একটি সংশোধন, “আনমনা” কবিতার (পৃ ৬৪ ) দ্বিতীয় ছত্রে ‘মালাখানি’ স্থলে ‘মাল্যখানি । "বেঠিক পথের পথিক” কবিতাটি প্রবাসীতে প্রকাশিত হইবার সময় এই পাঠনির্দেশ মুদ্রিত ছিল : “এই কবিতাটির অকারান্ত সমস্ত শব্দকে হসন্তরূপে গণ্য করিতে হইবে ও কবিতাটি দাদরা তালে পড়িতে হইবে।” অকারান্ত সব শব্দ হসন্তযোগে মুদ্রিত ছিল। “তৃতীয়া” ও “বিরহিণী” কবিতা দুইটি কবির পৌত্রী শ্ৰীমতী নন্দিনীর উদ্দেশে রচিত ; রচনাবলীর বর্তমান খণ্ডের প্রারম্ভে নন্দিনীর চিত্র মুদ্রিত হইয়াছে। রবীন্দ্ৰ-ভবনে রক্ষিত পাণ্ডুলিপি সাহায্যে কোনো কোনো কবিতার তারিখ ও পাঠ সংশোধিত হইয়াছে। পাণ্ডুলিপির কোনো কোনো অংশ গ্রন্থপ্রকাশকালে বর্জিত হইয়াছে, নিচে সেগুলি উদ্ধৃত হইল । “সাবিত্ৰী”, ষষ্ঠ उनक ‘চিহ্ন নাছি রাখের পর তোমার উৎসবধারা আসা-যা sब দু-কুল ধ্বনিয়া নিত্য ছুটে যায়।