পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী চাহিলাম ; শুনিলাম নক্ষত্রের রন্ধে, রন্ধে, বাজে আকাশের বিপুল ক্ৰন্দন ; দেখিলাম শুম্ভমাঝে আাধারের অালোক-ব্যগ্রতা । কত শত মস্বস্তরে কত জ্যোতিলোক গৃঢ় বহ্নিময় বেদনার ভরে অক্ষুটের আচ্ছাদন দীর্ণ করি’ তীক্ষ রশ্মিঘাতে কালের বক্ষের মাঝে পেল স্থান প্রোজ্জল প্রভাতে প্রকাশ-উংসবদিনে । যুগসন্ধ্যা কবে এল তার ডুবে গেল অলক্ষ্যে অতলে । রূপ-নিঃস্ব হাহাকর অদৃশু বুভূক্ষু ভিক্ষু ফিরিছে বিশ্বের তীরে তীরে, ধুলায় ধুলায় তার আঘাত লাগিছে ফিরে ফিরে । ছিল যা প্রদীপ্তরূপে নানা ছন্দে বিচিত্ৰ চঞ্চল আজ অন্ধ তরঙ্গের কম্পনে হানিছে শূন্যতল । لاقته হে সমুদ্র, চাহিলাম আপন গহন চিত্তপানে ; কোথায় সঞ্চয় তার, অস্ত তার কোথায় কে জানে । ওই শোনো সংখ্যাহীন সংজ্ঞাহীন অজানা ক্ৰন্দন অমূর্ত আঁধারে ফিরে, অকারণে জাগায় স্পন্দন বক্ষতলে এক কালে ছিল রূপ, ছিল বুঝি ভাষা ; বিশ্বগীতি-নিঝরের তীরে তীরে বুঝি কত বাসা বেঁধেছিল কোন জন্মে ;—দুঃখে স্থখে নানা বর্ণে রাঙি তাহাদের রঙ্গমঞ্চ হঠাৎ পড়িল কবে ভাঙি অতৃপ্ত আশার ধূলিস্ত,পে । আকার হারাল তারা, আবাস তাদের নাহি । খ্যাতিহারা সেই স্মৃতিহারা স্বষ্টিছাড়া ব্যর্থ ব্যথা প্রাণের নিভূত লীলাঘরে কোণে কোণে ঘোরে শুধু মূর্তি তরে, আশ্রয়ের তরে। রাগে অতুরাগে যারা বিচিত্ৰ আছিল কত রূপে, আজ শূন্ত দীর্ঘশ্বাস আঁধারে ফিরিছে চুপে চুপে । আগুেস জাহাজ ২১ অক্টোবর, ১৯২৪