পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্র-রচনাবলী শেষ হে অশেষ, তব হাতে শেষ ধরে কী অপূর্ব বেশ, কী মহিমা । জ্যোতিহীন সীমা মৃত্যুর অগ্নিতে জলি যায় গলি, গড়ে তোলে অসীমের অলংকার । হয় সে অমৃতপাত্র, সীমার ফুরালে অহংকার । শেষের দীপালি-রাত্রে, হে অশেষ অম-অন্ধকার-রন্ধে, দেখা যায় তোমার উদ্দেশ । ভোরের বাতাসে শেফালি ঝরিয়া পড়ে ঘাসে, তারাহারা রাত্রির বীণার চরম ঝংকার । যামিনীর তন্দ্রাহীন দীর্ঘ পথ ঘুরি প্রভাত-আকাশে চন্দ্র, করুণ মাধুরী শেষ করে যায় তার, উদয়স্থধের পানে শাস্ত নমস্কার । যখন কর্মের দিন মান ক্ষীণ, গোষ্ঠে-চলা ধেন্থসম সন্ধ্যার সমীরে চলে ধীরে আঁধারের তীরে— তখন সোনার পাত্র হতে কী অজস্র স্রোতে তাহারে করাও স্বান অস্তিমের সৌন্দর্যধারায় ? যখন বর্ষার মেঘ নিঃশেষে হারায় বর্ষণের সকল সম্বল, শরতে শিশুর জন্ম দাও তারে শুভ্র সমুজ্জল –