পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মপরিচয় S¢ዓ শিবম। এই-যে মঙ্গল এর মধ্যে একটা মস্ত দ্বন্দ্ব। অন্ধুর এখানে দুই ভাগ হয়ে বাড়তে চলেছে, সুখদুঃখ, ভালোমন্দ। মাটির মধ্যে যেটি ছিল সেটি এক, সেটি শান্তম, সেখানে আলো-আঁধারের লড়াই ছিল না। লড়াই যেখানে বাধল। সেখানে শিবকে যদি না জানি। তবে সেখানকার সত্যকে জানা হবে না। এই শিবকে জানার বেদনা বড়ো তীব্ৰ। এইখানে ‘মহাভয়ং বাজমুদ্যতম । কিন্তু এই বড়ো বেদনার মধ্যেই আমাদের ধর্মবােধের যথার্থ জন্ম। বিশ্বপ্রকৃতির বৃহৎ-শান্তির মধ্যে তার গর্ভবাস। আমার নিজের সম্বন্ধে নৈবেদ্যের দুটি কবিতায় এ কথা বলা আছে। S মাতৃস্নেহবিগলিত স্তন্যান্ধীররস। পান করি হাসে শিশু আনন্দে অলসতেমনি বিহবল হর্ষে ভােবরসরাশি প্ৰমত্ত পঞ্চম সুরে— প্রকৃতির বুকে লালনললিত চিত্ত শিশুসম সুখে ছিনু শুয়ে, প্রভাত-শর্বরী-সন্ধা-বধু নানা পাত্রে আনি দিত নানাবর্ণ মধু পুষ্পগন্ধে-মাখা । আজি সেই ভাবাবেশ সেই বিহবলতা যদি হয়ে থাকে শেষ, প্রকৃতির স্পর্শমোহ গিয়ে থাকে দূরে— কোনো দুঃখ নাহি। পল্লী হতে রাজপুরে এবার এনেছ মোরে, দাও চিত্তে বল । एनथो७ भाठान्न भूउिँ कठिन निालि । ܓ আঘাত-সংঘাত মাঝে দাড়াইনু আসি। অঙ্গদ কুণ্ডল কাষ্ঠী অলংকাররাশি খুলিয়া ফেলেছি দূরে। দাও হস্তে তুলি তোমার অক্ষয় তুণ। অন্ত্রে দীক্ষা দেহ রণগুরু। তোমার প্রবল পিতৃস্নেহ ধ্বনিয়া উঠুক আজি কঠিন আদেশে। করো মোরে সম্মানিত নব-বীরবেশে, কর্মক্ষেত্রে করি দাও সক্ষম স্বাধীন।