পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ ৷৷ রবীন্দ্র-রচনাবলী পাই, তখন রূপের মধ্যে অপরূপ, বন্ধনের মধ্যে মুক্তির প্রকাশ আমাদের কাছে জাগিয়া উঠে । তার পরে আমার রচনায় বার বার এই ভাবটা প্রকাশ পেয়েছে- জীবন এই দুঃখবিপদবিরোধমৃত্যুর বেশের অসীমের আবির্ভাব— কহ মিলনের এ কি রীতি এই, ७tों भsी. ( (भाद्म भs. সমারোহভার কিছু নেই নেই কোনো মঙ্গলাচরণ ? পিঙ্গলছবি মহাজট সে কি চূড়া করি বাধা হবে না ? বিজয়োদ্ধত ধবজপাট সে কি আগে-পিছে কেহ বাবে না ? মশালা-আলোকে নদীতটি আঁখি মেলিবে না। রাঙাবরন ? কেঁপে উঠিবে না। ধরাতল ওগো মরণ, হে মোর মরণ । বিবাহে চলিলা বিলোচনা ওগো মরণ, হে মোর মরণ, কতমত ছিল আয়োজন ছিল কতশত উপকরণ ! লটপট করে বাঘছাল, র্তার বৃষ রহি রহি গরজে, বেষ্টন করি জটাজাল যত ভুজঙ্গদল তরজে । দোলে গলায় কপালাভরণ, বিষাণে ফুকারি উঠে তান ওগো মরণ, হে মোর মরণ ।. কাজে থাকি আমি গৃহমােঝ ওগো মরণ, হে মোর মরণ, ভেঙে দিয়ে মোর সব কাজ কোরো সব লাজ অপহরণ । স্বপনে মিটায়ে সব সাধ আমি শুয়ে থাকি সুখশয়নে, হৃদয়ে জড়ায়ে অবসাদ থাকি আধজাগরকে নয়নেশঙ্খে তোমার তুলো নাদ করি। প্ৰলয়শ্বাস ভরণ, ছুটিয়া আসিব ওগো নাথ, ওগো মরণ, হে মোর মরণ ।