পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মপরিচয় აNტტ “খেয়া'তে ‘আগমন’ বলে যে কবিতা আছে, সে কবিতায় যে মহারাজ এলেন তিনি কে ? তিনি যে অশান্তি। সবাই রাত্রে দুয়ার বন্ধ করে শান্তিতে ঘুমিয়ে ছিল, কেউ মনে করে নি। তিনি আসবেন । যদিও থেকে থেকে দ্বারে আঘাত লেগেছিল, যদিও মেঘগর্জনের মতো ক্ষণে ক্ষণে র্তার রথচক্রের ঘর্ঘরধ্বনি স্বপ্নের মধ্যেও শোনা গিয়েছিল। তবু কেউ বিশ্বাস করতে চাচ্ছিল না যে, তিনি আসছেন, পাছে তাদের আরামের ব্যাঘাত ঘটে । কিন্তু দ্বার ভেঙে গেল- এলেন রাজা । ওরে দুয়ার খুলে দে রে, বাজা শঙ্খ বাজা । গভীর রাতে এসেছে আজ। আঁধার ঘরের রাজা । বজু ডাকে শূন্যতলে, বিদ্যুতেরি ঝিলিক ঝলে, ছিন্নাশয়ন টেনে এনে আঙিনা তোর সাজা, ঝড়ের সাথে হঠাৎ এল দুঃখরাতের রাজা । ঐ “খেয়াতে ‘দান বলে একটি কবিতা আছে। তার বিষয়টি এই যে, ফুলের মালা চেয়েছিলুম, কিন্তু কী পেলুম। , a QO NGit ng Cat, a Gr তোমার তরবারি | জ্বলে ওঠে আগুন যেন, বজ্ৰ-হেন ভারীএ যে তোমার তরবারি । এমন যে দান এ পেয়ে কি আর শান্তিতে থাকবার জো আছে। শান্তি যে বন্ধন যদি তাকে অশান্তির ভিতর দিয়ে না পাওয়া যায়। ] আজকে হতে জগৎমাঝে ছাড়ব আমি ভয়, আজ হতে মোর সকল কাজে তোমার হবে জয়আমি ছাড়ব সকল ভয় । মরণকে মোর দোসর করে রেখে গেছ আমার ঘরে, আমি তারে বরণ করে রাখব পর্যানময় । তোমার তরবারি। আমার করবে বাধন ক্ষয় । उाभि छgद जकल उठश । এমন আরো অনেক গান উদধূত করা যেতে পারে যাতে বিরাটের সেই অশান্তির সুর লেগেছে। কিন্তু সেইসঙ্গে এ কথা মানতেই হবে সেটা কেবল মাঝের কথা, শেষের কথা নয়। চরম কথাটা হচ্ছে শান্তং শিবমদ্বৈতম। রুদ্রতাই যদি রুদ্রের চরম পরিচয় হত তা হলে সেই অসম্পূর্ণতায় আমাদের আত্মা কোনো আশ্রয় পেত না- তা হলে জগৎ রক্ষা পেত। কোথায় । তাই তো মানুষ ঠাকে ডাকছে, রুদ্র যত্তে দক্ষিণং মুখং তেন মাং পাহি নিত্যম- রুদ্র, তোমার যে প্ৰসন্ন মুখ, তার দ্বারা আমাকে রক্ষা