'98 রবীন্দ্র-রচনাবলী লাভ করবে। এ সম্বন্ধে চেষ্টাও করেছি, পত্নী-সমিতি বলে সমিতি গড়ে তুলেছি, এ বিষয়ে আমার মাথা ততটা খেলাতে পারি নাই। আজ দেখে আনন্দ হয়েছে- এতদিনে আমরা বুঝতে পেরেছি। কোন জায়গায় আমাদের গলদ । গগনস্পশী পালিয়ামেন্ট হলে হবে না। আমাদের অভাব এখানে নয়। আমাদের অভাব ভিতরে- যার উপর গড়তে পারব। একবার মুষ্টিমেয় কলেজে-পড়া উপাধিধারী কয়েকজন ভেবেছিল, “আমাদের চেষ্টার উপর, উদ্যমের উপর দাড় করাতে পারব।" মরে গিয়েছেসমন্ত দেশ ক্রমে ক্রমে জীবস্মৃত হয়েছে তা নয়- যথার্থ মরেছে । সেদিন আমাদের একদল লোক চিত্ৰকলা অভ্যাস করতে গ্রামের চিত্ৰকলা দেখতে গিয়েছিল । তারা এসে বললে, “আমাদের আর অন্নে রুচি হয় না ; দেখলাম একেবারে উজাড় হয়েছে- একটা গ্রামে, বড়ো গ্রামে, বড়ো বড়ো বাড়ি পড়ে রয়েছে । চার ঘর কায়স্থ রয়েছে এখনো বেঁচে আছে কী করে জিজ্ঞাসা করায় বলল, আমরা বৎসরের মধ্যে দুবার আসানসোল কি বর্ধমান গিয়ে সমবৎসরের কাপড়-চোপড় নিয়ে আসি । যে কয়দিন বেঁচে আছি। এমনি ভাবে যাবে, যখন মৃত্যুর পরওয়ানা আসবে যাব । এক জায়গায় দেখলাম- স্যমন্ত বড়ো বাড়ি । যারা ৫০/১০০ বৎসর পূর্বে বর্ধিষ্ণু লোক ছিল এখন সেখানে তাদের রথ পড়ে আছে, দেবতা অচল ।” এইটা শুনাব না মনে করেছিলাম । আপনাদের মধ্যে অনেকে ধর্মপ্ৰাণ আছেন, তারা বলবেন, “আমরা গিয়ে দেবতার রন্থ চালাব ।’ আমি বলি সে চলবে না, দেবতা তোমাদের হাতের টানে চলবে না, দেবতা তার নিজের শক্তির রথে চলবে, গ্রামের লোকের নিজের শক্তির রথে চলবে, সে রথ বাশ BB uDBBB DBB D DDS SD rBB0B BKSYS YBBB TBBDBS SBS BB B BB DDD চালালে চলবে না, ঠাকুর তাতে চলে না, ঠাকুর চান আমাদের হৃদয়ের সেবা নিয়ে ঠার রথ তৈয়ারি হোক- তার রূপের অন্ত নাই ! ঠাকে মেরে ফেলে মুমূৰ্যর গঙ্গাযাত্রার মতো ঠাকে কি টেনে নিয়ে যেতে হবে । তা তো নয় ; কোথায় প্রাণ, যে প্রাণপ্ৰাচুর্যের ভিতর সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে, যে সৃষ্টি সম্পদে জ্ঞানে প্ৰেমে কর্মে সকল দিকে বিকশিত হয়, বসন্থের মতো নূতন প্ৰাণ চারি দিকে ছড়িয়ে পড়ে । সে প্রাণশক্তির প্রাচুর্য যেখানে, দেবতা সেখানে চলেন । নইলে ঠার ভাঙা পথ যত জোরেই টানো দেবতা চলবেন না । বাংলার সর্বত্র দেবতার ভান্তা রােখ পড়ে আছে, দেবতা যদি চািলত আমাদের এ দশা হত না, আমরা এমন করে মৃতকল্প হয়ে পড়ে থাকতুম না, এমন করে ঘরের আলো নিভে যেত না । এত দুৰ্গতি কোন ; আমাদের রথ আমরা তৈয়ার করি নাই ; যা ছিল তারও ঢাকা ভেঙে গেছে । এমন কেহ নাই তাকে ব্যবহারে চালাতে পারে ; ছোটােখাটাে একটা-কিছু তৈয়ারি করে উপস্থিতমত চালিয়ে দেওয়া, বিষয়ী লোকের কথা । ছোটোখাটো লাভের কথায় হানি আছে । সৰ্বকালের দিকে তাকিয়ে কাজ করতে হবে, বড়োকে ভূমীকে লক্ষ্য করতে হবে । সমান্ত আত্মা দিয়ে, ওলমন্ত শক্তি দিয়ে তবে তাকে পাব, তবে তিনি তৃপ্ত হবেন, প্ৰসন্ন হবেন । তিনি প্ৰসন্ন হলে সকল তাপ দূর হয়ে যাবে { সেইজন্য সকলের চেয়ে বড়ো কাজ- &রা যা করেছেন- উজবোধন, পল্লীর শক্তির উদবোধন । এরা একদিন দাঁড়িয়ে বলবে, কাউকে মানব না, যেখানে অন্যায় পাপ দুঃখ শোক সেখানে তাকে তাড়া করে যাব ।’ আজকে মশা থেকে আরম্ভ হয়েছে, এ কাজে আমাদের রায়বাহাদুর লেগেছেন । আমি ইনজেকশন করতে জানি না, কী পরিমাণ কুইনাইন দিতে হয় জানি না, কিন্তু এটা জানি এবং এইজনী বহুকাল অরণ্যে রোদন করেছি- কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে তা হয় না, তাতে ভগবান প্ৰসম ধন না, সে পথ আপনার ঘরের ভিতরকার হলেও যখনই তাতে নির্ভর করেছি তখনই দুঃখ প্রাপ্ত হয়েছে, কেননা তিনি অন্তরের ভিতর আছেন, আমার অন্তরের মধ্যে যে অনন্ত শক্তি তাকে জাগাতে হবে, তিনি জািগলে সব দূর হয়ে যাবে, সব দুঃখ তাপ একসঙ্গে দূর হয়ে যাবে। কেউ কবি হতে পারে, কেউ ডাক্তার হতে পারে, কেউ ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে- যার ফেরকম শক্তি, যার যেরকম শিক্ষা, সকলোিমক চিতাবৃত্তির সকল রকম শক্তির দরকার আছে। অনন্ত শক্তির উৎস যিনি ৬ষ্ঠায় বহুধা শক্তি -স্বারা তিনি বিশ্বকে পালন করেন। কেবল ইকনমিকস নয়, কেবল পলিটিকস নয়- বহুধা শক্তি, সে সুখ BDBBB BBB BBB BBB BBB DDuS DBB uuDuD BDBB BBLBBB LBzL LLLLLLLELiB BDBYS TB MBB BB LBLBCS LDB LB LBLB L BB YSSGGBLBBB BBBBB LLLLS
