পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই রচনাগুলি সম্বন্ধে কবির বিতৃষ্ণা ও ঔদাসীন্য কিরূপ সুগভীর তাহাই জানাইবার জন্য এই পত্র ও কবিতা উদধূত করিলাম ; এগুলি পুনঃপ্রকাশের পূর্ণ দায়িত্ব আমাদেরই। এখন আমাদের তরফ হইতে কৈফিয়ৎস্বরূপ দু-একটা কথা বলি । ইতিহাসের খাতিরেই যে এই বৰ্জিত রচনাগুলি পুনঃপ্রকাশে ব্ৰতী হইয়াছি তাহা নয়— যদিও তাহা করিলেও অন্যায় হইত বলিয়া মনে করি না ; এই রচনাগুলি যে শুধু রবীন্দ্ৰ-সাহিত্যের ইতিহাসের দিক দিয়াই প্রয়োজনীয়, যে বয়সে এগুলি তিনি লিখিয়াছিলেন সে বয়সের পক্ষে আন্দীে বিস্ময়কর নয়, এমন নহে ; এগুলির রচনাকালে বাংলা-সাহিত্য উৎকর্ষের যে পর্যায়ে ছিল তাহার পক্ষে এগুলির অধিকাংশই পরম বিস্ময়, এইজন্যই বঙ্কিমচন্দ্র একদিন রবীন্দ্রনাথকে জয়মাল্য পরাইতে কুষ্ঠিত হন নাই। ইতিহাসের কথা ছাড়িয়া দিলেও ভাব-ঐশ্বর্যের দিক দিয়াও এগুলি যে রচয়িতার দীনতাই ঘোষণা করিতেছে, এমন কথা অনেক পাঠকই মনে করেন না । এ-রচনাগুলির “শিল্প-আবরণ আজ ‘জীর্ণ মনে হইতে পারে, কিন্তু ইহার বাণী যে সম্পূৰ্ণ ‘অর্থভ্ৰষ্ট', রসহীন, "মরুপ্রদেশ’, কবির এ কথা মানিয়া না লইবার কারণ আছে । রবীন্দ্রনাথের রচনার কোন অংশ বর্জনীয়, কোন দান শ্রদ্ধার যোগ্য, তাহার বিচার-ভার কবিকে দিলে সুবিচার হইবে মনে করি না, আমরা নিজেরাও সে ভার গ্রহণ করি নাই— ভাবী কালের উপরে রাখিয়াই এই গ্রন্থগুলি সংকলন করা হইল । এই খণ্ড সম্পাদনায় সহযোগিতা করিয়া শ্ৰীসজনীকান্ত দাস ও শ্ৰীব্ৰজেন্দ্ৰনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়াছেন । এই খণ্ডের ভূমিকা ও গ্রন্থপরিচয় তাহাদের রচনা । শ্ৰীচারুচন্দ্ৰ ভট্টাচার্য