পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 SVs ब्रोडक्ष-अप्5नावर्डी একাকী পাখির সাথে গাইতে কি গীত তাই শুনি যেন তার ভাঙিত গো ঘুম ! অনন্ত-তারা-খচিত নিশীথগগনে বসিয়া গাইতে তুমি কি গভীর গান, তাহাই শুনিয়া যেন বিহবলহািদয়ে নীরবে আকাশ পানে রহিত চাহিয়া । নীরব নিশীথ যাবে একাকী রাখাল সুদূর কুটীরতলে বাজাইত বাশী তুমিও তাহার সাথে মিলাইতে ধ্বনি, সে ধবনি পশিত তার প্রণের ভিতর । নিশার তীমাধার-কোলে জগৎ যখন দিবসের পরিশ্রমে পড়িত ঘুমায়ে তখন সে কবি উঠি তুষারমণ্ডিত সমুচ্চ পর্বতশিরে গাইত একাকী প্ৰকৃতিবন্দনাগান মেঘের মাঝারে । সে গম্ভীর গান তার কেহ শুনিত না, কেবল আকাশব্যাপী স্তৱন্ধ তারকারা এক দৃষ্ট্রে মুখপানে রহিত চাহিয়া । কেবল, পর্বতশৃঙ্গ করিয়া আঁধার, সরল পাদপরাজি নিন্তৱন্ধ গাওঁ বীর ধীরে ধীরে শুনিত গো তাহার সে গান ; কেবল সুদূর বনে দিগন্তবালার হৃদয়ে সে গান পশি প্ৰতিধবনিরপে মৃদুতার হেয়ে পুন আসিত ফিরিয়া । কেবল সুদুর শৃঙ্গে নিকারিণী বালা সে গভীর গীতি-সাথে কণ্ঠ মিশাইত, নীরবে তটিনী যেত সমুখে বহিয়া, নীরবে নিশীথবায়ু কাপাত পল্লব । গভীরে গাইত। কবি- “হে মহাপ্ৰকৃতি, কি সুন্দর, কি মহান মুখশ্ৰী তোমার, শূন্য আকাশের পটে হে প্ৰকৃতিদেবী কি কবিতা লিখেছি যে জলন্ত অক্ষরে, যত দিন রবে প্ৰাণ পড়িয়া পড়িয়া তবু ফুরাবে না পড়া ; মিটিবে না। আশা ! শত শত গ্ৰহ তারা তোমার কাটাক্ষে বঁকাপি উঠে থারথারি, তোমার নিশ্বাসে কাটিকা বহিয়া যায় বিশ্বচরাচরে । কালের মহান পক্ষ করিয়া বিস্তার, অনন্ত আকাশে থাকি হে আদি জননি, শাবকের মতো এই অসংখ্য জগৎ তোমার পাখার হয়ে করিছ। পালন !