পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कदि-दाट्टिी যে আশা দিয়াছ হলুদে ফলিবে তা দেবি, এক দিন মিলিবেক হািদয়ে হাদয় তোমার আশ্বাসবাক্যে হে প্ৰকৃতিদেবি, সংশয় কখন আমি করি না। স্বপনে ! বাজাও রাখাল তব সরল বাশারী ! 5e3 C5 ANGINIK JACK SCANG KI SON ! পাখিরা মেলিয়া যাবে গাইতেছে। গীত, কানন ঘেরিয়া যাবে বহিতেছে বায়, উপত্যকাময় যাবে ফুটিয়াছে ফুল, তখন তোদের আর কিসের ভাবনা ? দেখি চিরহস্যময় প্ৰকৃতির মুখ, দিবানিশি হাসিবারে শিখেছিস তোরা ! সমস্ত প্ৰকৃতি যাবে থাকে গো হাসিতে, সমস্ত জগৎ যাবে গাহে গো সংগীত, তখন তো তোরা নিজ বিজন কুটীরে ক্ষুদ্রতম। আপনার মনের বিষাদে সমস্ত জগৎ ভুলি কাদিস না বসি *! জগতের, প্ৰকৃতির ফুরুত্ৰ মুখ হেরি আপনার ক্ষুদ্র দুঃখ রহে কি গো আর ? ধীরে ধীরে দূর হতে আসিছে কেমন বসন্তের সুরভিত বাতাসের সাথে মিশিয়া মিশিয়া এই সরল রাগিণী । একেক রাগিণী আছে করিলে শ্রবণ মনে হয় আমারি তা প্ৰাণের রাগিণীসেই রাগিণীর মতো আমার এ প্ৰাণ, আমার প্রাণের মতো যেন সে রাগিণী ! কখন বা মনে হয়। পুরাতন কাল এই রাগিণীর মতো আছিল মধুর, এমনি স্বপন্নময় এমনি অস্ফুটতাই শুনি ধীরি ধীরি পুরাতন স্মৃতি প্ৰাণের ভিতরে যেন উথলিয়া উঠে !” গভীর বাধক্যে আসি হল উপনীত ! সুগভীর বৃদ্ধ কবি, স্কন্ধে আসি তার পড়েছে ধবল জটা অযত্নে লুটায়ে ! মনে হত দেখিলে সে গভীর মুখশ্ৰী হিমাদ্রি হতেও বুঝি সমুচ্চ মহান ! নেত্র তার বিকীরিত কী স্বগীয় জ্যোতি, যেন তার নয়নের শান্ত সে কিরণ সমস্ত পৃথিবীময় শান্তি বরষিবে । 8 3 Հ