পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88tr সন্ধ্যার তীমাধারে হোথা বসিয়া বসিয়া, কী গান গাইছে কবি, শুন কলপনা । কী “সুন্দর সাজিয়াছে ওগো হিমালয় তোমার বিশালতম শিখরের শিরে একটি সন্ধ্যার তারা ! সুনীল গগন ভেদিয়া, তুষার শুভ্ৰ মস্তক তোমার ! সরল পাদপরাজি-ভঁসাধার করিয়া উঠেছে তাহার পরে ; সে ঘোর অরণ্য ঘেরিয়া হুহুহু করি তীব্র শীতবায়ু দিবানিশি ফেলিতেছে বিষগ্ৰ নিশ্বাস ! শিখরে শিখরে ক্রমে নিভিয়া আসিল অন্তমান তপনের আরক্ত কিরণে প্ৰদীপ্ত জলদচুৰ্ণ । শিখরে শিখরে মলিন হইয়া এল উজ্জ্বল তুষার, ভীমাধারের যবনিকা ধীরে ধীরে ধীরে ! পৰ্বতের বনে বনে গাঢ়তার হল ঘুমময় অন্ধকার । গভীর নীরব ! অতি ভয়ে ভয়ে যেন চলেছে তটিনী সুগভীর পর্বতের পদতল দিয়া ! কী মহান ! কী প্ৰশান্ত ! কী গভীর ভাব ! ধরার সকল হতে উপরে উঠিয়া স্বগের সীমায় রাখি ধবল জটায় জড়িত মস্তক তব ওগো হিমালয় নীরব ভাষায় তুমি কী যেন একটি গভীর আদেশ ধীরে করিছ প্রচার ! সমস্ত পৃথিবী তাই নীরব হইয়া শুনিছে অনন্যমনে সািভয়ে বিস্ময়ে । আমিও একাকী হেথা রয়েছি পড়িয়া, আঁধার মহা-সমুদ্রে গিয়াছি মিশায়ে, ক্ষুদ্র হতে ক্ষুদ্র নির আমি, শৈলীরাজ ! অকুল সমুদ্রে ক্ষুদ্র তৃণটির মতো