পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कवि-कानैिी সহস্ৰ পীড়িতদের অভিশাপ লয়ে সহস্রের রক্ত ধারে ক্ষালিত আসনে সমস্ত পৃথিবী রাজা করিছে শাসন, বাধিয়া গলায় সেই শাসনের রজ্জ্ব সমস্ত পৃথিবী তার রহিয়াছে দাস ! সহস্ৰ পীড়ন সহি আনত মাথায় একের দাসত্বে রত অযুত মানব ! ভাবিয়া দেখিলে মন উঠে গো শিহরিভ্ৰমান্ধ দাসের জাতি সমস্ত মানুষ । এ অশান্তি কবে দেব হবে দূরীভূত ! অত্যাচার-গুরুভারে হয়ে নিপীড়িত সমস্ত পৃথিবী, দেব, করিছে ক্ৰন্দন ! সুখ শান্তি সেন্থা হতে লয়েছে বিদায় ! কবে, দেব, এ রজনী হবে অবসান ? তরুণ রবির করে হাসিবে পৃথিবী ! অযুত মানবগণ এক কষ্ঠে, দেব, এক গান গাইবেক স্বৰ্গ পূৰ্ণ করি ! নাইক দরিদ্র ধনী অধিপতি প্ৰজা মৰ্যাদার অপমান করিবে না। মনে, কেহ কারো প্ৰভু নয়, নহে কারো দাস ! নাই ভিন্ন জাতি আর নাই ভিন্ন ভাষা সকলেই আপনার আপনার লয়ে পরিশ্রম করিতেছে প্ৰফুল্ল-অন্তরে । কেহ কারো সুখে নাহি দেয় গো কণ্টক, কেহ কারো দুখে নাহি করে উপহাস ! দ্বেষ নিন্দা ক্রুদ্রতার জঘন্য আসন ধর্ম-আবরণে নাহি করে গো সাজিত ! অতীতের দীপশিখা। যদি হিমালয় ভবিষ্যৎ অন্ধকার পারে গো ভেদিতে যে দিন স্বৰ্গই হবে পৃথ্বীর আদর্শ ! সে দিন আসিবে গিরি, এখনিই যেন দূর ভবিষ্যৎ সেই পেতেছি দেখিতে যেই দিন এক প্ৰেমে হইয়া নিবন্ধ মিলিবেক কোটি কোটি মানবাহাদয় । ܠ 62 8