পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दन्-यूठन বিকট দশন মেলি মানবকপালধবংসের স্মরণস্তুপ, ছড়াছড়ি দেখিতে ভয়াল ! গভীর তঁমাখিকোটির আঁধারেরে দিয়েছে আবাস, মেলিয়া দশনপাতি পৃথিবীরে করে উপহাস ! মানবিকঙ্কাল শুয়ে ভস্মোর শয্যায়কানের কাছোতে গিয়া বায়ু কত কথা ফুসলায় ! তটিনী কহিছে। কানে ‘উঠ ! উঠ ! উঠ নিদ্রা হতে ঠেলিয়া শরীর তার ফিরে ফিরে তরঙ্গ—আঘাতে ! উঠ গো কঙ্কাল ! কত ঘুমাইবে আর ! পৃথিবীর বায়ু এই বহিতেছে। উঠ আরবার ! উঠ গো কঙ্কাল ! দেখা স্রোতস্বিনী ডাকিছে তোমায় ঘুমাইবে কত আর বিসর্জন দিয়া চেতনায় ! বলো না, বলো না তুমি ঘুমাও কি বোলে ? কাল যে প্রেমের মালা পরাইয়াছিল। এই গলে তরুণী ষোড়শী বালা ! আজি তুমি ঘুমাও কি বলে ! অনাথারে একাকিনী সঁপিয়া এ পৃথিবীর কোলে ! উঠ গো- উঠ গো- পুন করিনু আহবান ! শুন, রজনীর কানে ওই সে করিছে খেদ গান ! সময় তোমার আজো ঘুমাবার হয় নাই তো রে ! কোল বাড়াইয়া আছে পৃথিবীর সুখ তোমা-তরে ! তুমি গো ঘুমাও, আমি বলি না তোমারে ! জীবনের রাত্ৰি তব ফুরায়েছে নেত্ৰধারে—ধারে ! এক বিন্দু অশ্রািজল বরষিতে কেহ নাই তোর, জীবনের নিশা আহা এত দিনে হইয়াছে ভোর ! ভয় দেখাইয়া আহা নিশার তামসেএকটি জ্বলিছে চিতা, গাঢ় ঘোর ধূমরাশি শ্বাসে । একটি অনলশিখা জ্বলিতেছে বিশাল প্ৰান্তরে, অসংখ্য স্মৃফুলিঙ্গ-কণা নিক্ষেপিয়া আকাশের পরে । কার চিতা জ্বলিতেছে কাহার কে জানে ? কমলা ! কেন গো তুমি তাকাইয়া চিতাগ্নির পানে ? একাকিনী অন্ধকারে ভীষণ ও শ্মশানপ্রদেশে ভূষণবিহীনদেহে, শুষ্কমুখে, এলোথোলো কেশে ? 8IC