পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vave অমিয়া ! চাদ কবি । রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী বিমল শিশিরধৌত তনু হাসিছে কুসুমরাজি গোএকি হর্ষ- হর্ষ আজি গো ! মধুকর গান গেয়ে বলে, ” ‘মধু কই, মধু দাও দাও!” ফুল বলে, “এই লও লও!” বায়ু আসি কহে কানে কানে, “ফুলবালা পরিমল দাও!” “যাহা আছে সব। লয়ে যাও !” আপনারে চায় বিলাইতে । বালিকা আনন্দে কুটিকুটি, পাতায় পাতায় পড়ে লুটি— নুতন জগত দেখি রে আজিকে হরষ একি রে । gibilih সত্য সত্য ফুল যাবে মেলে আঁখি তার, না জানি সে মনে মনে কি ভাবে তখন ! অমিয়া তুই তা বল, বুঝিবি কেমনে । তুই সুকুমার ফুল যখনি ফুটিলি, ” যখনি মেলিলি তঁমাখি, দেখিলি চাহিয়াশুষ্ক জীৰ্ণ পত্ৰহীন অতি সুকঠোর বাজাহত শাখা-’পরে তোর বুন্ত বাধা একটিও নাই তোর কুসুমভগিনী, আঁধার চৌদিক হতে আছে গ্ৰাস করি।-- না শুনিলি পাখিদের প্রভাতের গান ! আহা বোন, তোরে দেখে বড়ো হয় মায়া ! মাঝে মাঝে ভাবি বসে কাজ-কর্ম ভুলি, “এতক্ষণে অমিয়া একেলা বসে আছে, বিশাল আঁধার বনে কেহ তার নাই!” অমনি ছুটিয়া আসি দেখিবারে তোরে! মন দিয়ে শোনা দেখি অমিয়া আমার !