পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৬৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

N8 O রবীন্দ্র-রচনাবলী এক রাত্রি তরে দাও কুটীরে থাকিতে। রুদ্রচণ্ড । শিশুর হৃদয় এ কি পেয়েছিস তুই ! দুই ফোটা অশ্রশ্ন দিয়ে গলাতে চাহিস! এখনি ও অশ্রািজল মুছে ফেল তুই। অশ্রািজলধারা মোর দু-চক্ষের বিষ। আর নয়, শোনা শেষ আদেশ আমারদূর হ রে— / অমিয়া । ধার পিতা, ধর গো আমায় রুদ্রচণ্ড । ছুস নে, জুস নে মোরে, রাক্ষসি, জুস নে। অমিয়ার মুছিত হইয়া পতন ও তাঁহাকে তুলিয়া লইয়া বানান্ত-উদ্দেশে রুদ্র চণ্ডের প্রস্থান পঞ্চম দৃশ্য অমিয়া। রাজপথে প্ৰাসাদ সম্মুখে অমিয়া । আর সুতো পারি না, শ্রান্ত ব্লকান্ত কলেবর | সঘনে ঘুরিছে মাথা, টলিছে চরণ ! এ! কি এ বিদুৎ মাগো ! অন্ধ হ’ল আখি । চাদ, চাদ , কোথা গেলে ভাইটি আমার ! সারাদিন উপবাসে পথে পথে ভ্ৰমি “চাদ চাদ’ বলে আমি খুঁজেছি তোমায়। কোথাও পোনু না কেন ভাই গো আমার ? অতি ভয়ে ভয়ে গেছি পাস্থদের কাছেশুধায়েছি, কেহ কেন বলে নি আমারে ? এ প্রাসাদ যদি হয় তাহারি অ্যালয় ! যদি গো এখনি চাদ বাহিরিয়া আসে, হেথা মোরে দেখিয়া কি করেন তা হ’লে ? হয়ত আছেন তিনি, যাই একবার। উহু, কি বাতাস ! শীতে কঁাপি থর থর! যদি না থাকেন। তিনি, আর কেহ এসে যদি কিছু বলে মোরে, কি করিব তবে ? কে আছ গো, দ্বার খোল- আমি নিরাশ্রয়, অমিয়া আমার নাম, এসেছি দুয়ারে।