পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নলিনী প্রথম দৃশ্য অপরাতু কানন নীরদ 이R পিলু-কাওয়ালি হা কে বলে দেবে সে ভালোবাসে কি মোরে । কীভূ-বা সে হেসে চায়, কভু মুখ ফিরায়ে লয়, কীভূ-বা সে লাজে সারা, কীভূ-বা বিষাদময়ী, যাব কি কাছে তার শুধাব চরণ ধ’রে ! নীরদ। (স্বগত) এ রকম সংশয়ে তো আর থাকা যায় না!! এমন করে আর কত দিন কাটবে! এত দিন অপেক্ষা ক'রে বসে আছি— ওগো, একবার হৃদয়ের দুয়ার খোল, আমাকে এক পাশে একটু আশ্রয় দাও- যে লোক এত দিন ধরে প্রত্যাশা ক'রে চেয়ে আছে তাকে কি একটিবার প্রাণের মধ্যে আহবান করবে না ? আজকের কাছে গিয়ে একবার জিজ্ঞাসা ক'রে দেখব ! যদি একেবারে বলেনা !! আচ্ছা, তাই বলুক- আমার এ সুখ দুঃখের যা হয় একটা শেষ হয়ে যাক ! (কাছে গিয়া) নলিনী {- নলিনী । ফুলি, ফুলি, তুই ওখেনে বসে বসে কি করাচিস, ফুল তুলতে হবে মনে নেই! আয়, শীগগির করে আয় । ও কি করেচিস, কুঁড়িগুলো তুলেচিস কেন— আহা ওগুলি কাল কেমন ফুটত ? চল ঐদিকে গোলাপ ফুটচে যাই। আজ এখনো নবীন এল না কেন ? ফুলি। তিনি এখনি আসবেন। নীরদ। আমার কথায় কি একবার কর্ণপাতও করলে না ? আমি মনে করতুম, প্রাণপণ আগ্রহকে কেউ উপেক্ষা করতে পারে না। নলিনীর কি এতটুকুও হৃদয় নেই যে আমার অতখিনি আগ্রহকে স্বচ্ছন্দে উপেক্ষা করতে পারলে ? নাঃ— হয়ত ফুল তুলতে অন্যমনস্ক ছিল, আমার কথা শুনতেও পায় নি। আর একবার জিজ্ঞাসা করে দেখি । নলিনী !-- নলিনী। ফুলি, কাল এই বেলফুলের গাছগুলোতে মেলাই কুঁড়ি দেখেছিলেম, আজ তো আর একটিও দেখােচ নো! চল দেখি, ঐদিকে যদি ফুল পাই তাে তুলে নিয়ে আসি। (অন্তরালে) দেখ ফুলি,