পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o SCo রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ফেনিল তরঙ্গ আকুলি উঠে । পাগলের মতো তরী যাত্রী যত হেথা হােথা ছুটে তরণী-’পরেছিড়িতেছে কেশ, হানিতেছে বুক, করে। হাহাকার কাতর স্বরে । ছিন্নতার বীণা যায় গড়াগড়ি, অধীরে ভাঙিয়া ফেলেছে বাশিঝটিকার স্বর দিতেছে ডুবায়ে শতেক কণ্ঠের বিলাপরাশি । তরণীর পাশে নীরব অজিত, ললিতা অবাক-হিয়া মাথাটি রাখিয়া অজিতের কাধে রহিয়াছে দাড়াইয়া । কি ভয় মরণে, এক সাথে যাবে মরিবে দুজনে মিলি ? মুকুতাশয়নে সাগরের তলে ঘুমাইবে নিরিবিলি । দুইটি প্রণয়ী বাধা গলে গলে কাছাকাছি পাশাপাশি, পশিবে না। সেথা দ্বেষ কোলাহল, কুটিল কঠোর হাসি । করিতেছে টলমল— ভিতরে পশিছে জল । বঁধিল ললিতা অজিতের বাহু আদরে অজিত ললিতা-অধর চুমিল হৃদয় ভারে । নয়নের জল দুটিনবীন সুখের স্বপন, হায় রে, মাঝখানে গেল টুটি । “আয় সখি আয়” কহিল অজিত হাত ধরাধরি করি দুজনে মিলিয়া বঁ্যাপায়ে পড়িল আকুল সাগর-’পরি ।