পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈশবসঙ্গীত দ্বিতীয় সাগ নবরবি সুবিমল কিরণ ঢালিয়া নিশার তঁমাধাররাশি ফেলিল ক্ষালিয়া । সংযত করিছে তার এলোথোলো বাস । খেলায়ে খেলায়ে শ্রান্ত সারাটি যামিনী মেঘকোলে ঘুমাইয়া পড়েছে দামিনী । থেকে থেকে স্বপনেতে চমকিয়া চায়, ক্ষীণ হাসিখানি হেসে আবার ঘুমায় । শান্ত লহরীরা এবে শ্রান্ত পদক্ষেপে তীর-উপালের পরে পড়ে কেঁপে কেঁপে । দ্বীপের শৈলের শির প্লাবিত করিয়া । অজস্ৰ কনক ধারা পড়িছে ঝরিয়া । মেঘ, দ্বীপ, জল, শৈল, সব সুরঞ্জিতসমস্ত প্ৰকৃতি গায় স্বৰ্ণ-ঢালা গীত । বহু দিন হতে এক ভগ্নতরী জন করিছে বিজন দ্বীপে জীবনযাপন । কত দিন দেখে নাই মানুষের মুখ । এত দিন মৌন আছে না পেয়ে দোসর, শুনিলে চমকি উঠে আপনার স্বর । ভ্ৰমিতে ভ্ৰমিতে এল সাগরের তীর । বিমল প্ৰভাতে আজি শাস্ত সমীরণ ধীরে ধীরে করে তার দেহ আলিঙ্গন । নীরবে ভ্ৰমিছে কত- একি রে- একি রেসুমুখে কি দেখিতেছি সাগরের তীরে ? রূপসী ললনা এক রয়েছে শয়ান, প্ৰভাতকিরণ তার চুমিছে বিয়ান সিক্ত কেশ এলোথোলো শুভ্ৰ বালুকায় । প্ৰতিক্ষণে লহরীরা ঢলিয়া বেলায়, এলানো কুন্তল ল’য়ে কত না খেলায় ! বহু দিন পরে যথা কারামুক্ত জন হযেৰ্থ অধীরিয়া উঠে হেরিয়া তপন বহু দিন পরে হেরি মানুষের মুখ উচ্ছসি উঠিল সুখে সুরেশের বুক । দেখিল এখনো বহে নিশ্বাসসমীর, এখনো তুষারহিম হয় নি। শরীর । NA NA