পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

AS 8 রবীন্দ্ৰ-রচনাবলী ললিতারে দিত উপহার । আহারের তরে বালিকার । যতন করিয়া কত পৰ্ণশয্যা বিছাইত, গুছাইত ঘরখানি তার । শীতের তীব্ৰতা সহি তপনকিরণে দহি পীড়া অতি হল। ললিতার । অনলে দহিছে বুক, শুকায়ে যেতেছে মুখ, শুষ্ক অতি রসনা তুষায়নিশ্বাস অনলাময়, শয্যা অগ্নি মনে হয়, ছটফট করে যাতনায় । তুষার্ত অধরে তার ঢালিছে সলিলধার, ব্যজন করিছে রাত্ৰি দিবা । নিশীথে সে রুগ্নাঘরে একটি শিলার-’পরে দীপশিখা নিভ’নিভ’ বায়েজ্যোতি অতি ক্ষীণতর, দু-পা হয়ে অগ্রসর অন্ধকারে যেতেছে হারায়ে । একটিও কথা না কহিয়া শিয়রের সন্নিধানে সুরেশ সে মুখপানে একদৃষ্টে রহিত চাহিয়া । বিকারে ললিতা যত ব্যকিত পাগল-মত, ছটফট করিত শায়ানেততই সুরেশ-হিয়া উঠিত গো ব্যাকুলিয়া, অশ্রদ্ধারা পুরিত নয়নে । , যখনি চেতনা পেয়ে ললিতা উঠিত চেয়ে দেখিত সে শিয়রের কাছে স্নানমুখ করি নত নিস্তব্ধ ছবির মতো । সুরেশ নীরবে বসি আছে । মনে তার হত। তবে এ বুঝি দেবতা হবে, অসহায়া অবলা বালারে করুণাকোমল প্ৰাণে এ ঘোর বিজন স্থানে রক্ষা করে নিশার তঁমাধারে । অশ্রদ্ধারা দরদরি কপোলে পড়িত বারি, সুরেশের ধরি হাতখানি