পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শৈশবসঙ্গীত bro 2) লইয়া মাথার খুলি আধ-পোড়া অস্থিগুলি প্ৰমোদে ভস্মের পরে ছুটিয়া বেড়ায় । তোমরা তরুণ পাখি উড়েছ প্ৰভাতে সকলে মিলিয়া এক সাথে, এ পাখি এ শুষ্ক শাখে একেলা কেমনে থাকে ! সাধ- তোমাদেরি, সাথে যায়, সাধ- তোমাদেরি গান গায়, তরুণ কণ্ঠের সাথে এ পুরানো কণ্ঠ মোর বাজিবে না। সুরে ? নাহয় নীরবে রব’, নাহয় কথা না কবিশুনিব তোদেরি গান এ শ্রবণ পূরে । এই ছিন্ন জীৰ্ণ পাখা বিছায়ে গগনে যাব প্ৰাণপণেপথমাঝে শ্রান্ত যদি হই অতিশয় তবে- দিস রে আশ্রয় । পথে যে কণ্টক আছে কি ভাবিলি তার ? কত শুষ্ক জলাশয়- কত মাঠ মরুময় কত শত বক্রগতি নদী খরস্রোত অতি ঘুরিছে দারুণ বেগে আবর্তের জল— হা দুর্বল তুই তার কি ভাবিলি বল ! ভাবিতে পারি না। আর, জীবন দুৰ্বহ ভারসহিব এ পোড়া ভালে যা আছে লিখন । যদি প্ৰতি পদে পদে অদৃষ্টের কাটা বিধে, প্ৰতি কঁাটা তুলে তুলে কত আর চলি ! নাহয় চরণে বিধি মরিব গো জ্বলি । আমি যাব গো । মধ্যাহত “আর কত দূর ?” “যত দূর হােক ত্বরা চল সেই দেশ । এ যাত্রা হবে না শেষ ।” “এ শ্রান্ত চরণে বিধিয়াছে বিডো" । কণ্টক বিষম গো ।” “প্ৰখর তপন হানিছে কিরণ অনলের সম গো ।” “ছি ছিছি সামান্য শ্রমেতে কাতর করিছ। রোদিন কেন !