পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৮৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় brx©ዓ “লস এঞ্জেলস । ১১ - অক্টোবর ১৯১৬ - তার পরে এও আমার মনে আছে যে, শান্তিনিকেতন বিদ্যালয়কে বিশ্বের সঙ্গে ভারতের যোগের সূত্র করে তুলতে হবে- ঐখানে সার্বজাতিক মনুষ্যত্ব চর্চার কেন্দ্ৰ স্থাপন করতে হবে- স্বজাতিক সংকীর্ণতার যুগ শেষ হয়ে আসছে- ভবিষ্যতের জন্য যে বিশ্বজাতিক মহামিলনযজ্ঞের প্রতিষ্ঠা হচ্ছে তার প্রথম আয়োজন ঐ বোলপুরের প্রান্তরেই হবে। ঐ জায়গাটিকে সমস্ত জাতিগত ভূগোলাবৃত্তান্তের অতীত করে তুলব। এই আমার মনে আছে- সর্বমানবের প্রথম জয়ধ্বজা ঐখানে রোপণ হবে ।”- চিঠিপত্র ২ | “-বিশ্বভারতীর উদ্যোগ। গত [:১৩২৫] ৮ই পৌঁষে তাহার সূচনা হয় এবং গত বৎসরই চিত্র, সংগীত প্রভৃতি কলা এবং সংস্কৃত, পালি ইংরেজি প্রভৃতি সাহিত্যের অধ্যাপনার কাজ আরম্ভ হয়৷ ” “গত বৎসর [১৩২৫] ৮ই পৌঁষে আশ্রমের বার্ষিক উৎসবের দিনে বিশ্বভারতী । স্থাপিত হয়, এবং বর্তমান বৎসরের [১৩২৬] ১৮ই আষাঢ় ইহার নিয়মানুযায়ী কার্যের আরম্ভ হয়৷ ” “বিগত ২৩ ডিসেম্বর, [[১৯২১] ৮ পৌষ [:১৩৬৮] বিশ্বভারতীর সাংবাৎসরিক-সভায় বিশ্বভারতী পরিষদ গঠিত হয় এবং বিশ্বভারতীর জন্য যে সংস্থিতি (constitution) প্ৰণীত হইয়াছে তাহা গৃহীত হয়”- এই তারিখই বর্তমানে বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাদিবস বলিয়া স্বীকৃত ; এই দিন “সর্বসাধারণের হাতে তাকে সমৰ্পণ” করা হয় । বিশ্বভারতীর সূচনা হইবার পর, রবীন্দ্রনাথ ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে নিমন্ত্রিত হইয়া The Centre of Indian Culture প্রভৃতি প্রবন্ধে শিক্ষা সম্বন্ধে তাহার আদর্শ ব্যাখ্যা করেন (১৯১৯) । “আমাদের দেশে শিক্ষার আদর্শ কী হওয়া উচিত সে সম্বন্ধে আমার প্রবন্ধ আমি কলিকাতায় এবং অন্য অনেক শহরে পাঠ করিয়াছি। বিষয়টি এত বড়ো যে আমাদের এই ছােটাে পত্রপুটে তাহা ধরিবে না। সংক্ষেপে তাহার মর্মটুকু এখানে বলি।” এই “মর্ম শান্তিনিকেতন পত্রের ১৩২৬ বৈশাখ সংখ্যায় “বিশ্বভারতী” নামে প্রকাশিত হয় ; উহাই বর্তমান গ্রন্থের ১-সংখ্যক প্ৰবন্ধ । “গত [১৩২৬] ১৮ই আষাঢ় আশ্রমের অধিপতি শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের সভাপতিত্বে প্রারম্ভোৎসব সমাধা করিয়া বিশ্বভারতীর কার্য আরম্ভ করা হইয়াছে।” এই কাৰ্যারম্ভের দিনে রবীন্দ্রনাথ যে বক্তৃতা দেন তাহার। সারসংকলন বর্তমান গ্রন্থের ২-সংখ্যক প্ৰবন্ধ রূপে মুদ্রিত হইল ; প্রথমে ইহা শান্তিনিকেতন পত্রের ১৩২৬। শ্রাবণ সংখ্যায় “বিশ্বভারতী” নামে প্ৰকাশিত হইয়াছিল । “বিগত ২৩ ডিসেম্বর [১৯২১] ৮ পৌষ [(১৩২৮] বোলপুরে শান্তিনিকেতন-আশ্রমের আম্রকুঞ্জে শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ মহাশয়ের নূতন শিক্ষার কেন্দ্ৰ বিশ্বভারতীর সাংবাৎসরিক সভার অধিবেশন হয়। সেই সভায় বিশ্বভারতী পরিষদ গঠিত হয় এবং বিশ্বভারতীর জন্য যে সংস্থিতি (constitution) প্রণীত হইয়াছে তাহা গৃহীত হয় । ডাক্তার ব্ৰজেন্দ্রনাথ শীল মহাশয় সভাপতির আসন গ্ৰহণ করেন। সভায় শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আচার্য সিলভ্যা লেভি, ম্যাডাম স্নেহলতা সেন, শ্ৰীযুক্তা হেমলতা দেবী, শ্ৰীমতী প্রতিমা দেবী, শ্ৰীযুক্ত নেপালচন্দ্র রায়, স্যর নীলরতন সরকার, দিল্লীর সেণ্ট স্টিফেন কলেজের প্রিন্সিপ্যাল শ্ৰীযুক্ত এস কে রুদ্র, শ্ৰীযুক্ত মহিমচন্দ্র ঠাকুর, শ্ৰীযুক্ত প্ৰশান্তচন্দ্ৰ মহলানবিশ, ডাক্তার শিশিরকুমার মৈত্র প্রমুখ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।--সর্বপ্রথমে শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় ডাক্তার ব্ৰজেন্দ্রনাথ শীল মহাশয়কে সভাপতিত্বে বরণ করিবার প্রস্তাব করেন-- ”- S8 || 8